এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতের একের পর এক ধাক্কায় বেসামাল চীন! মুখ বাঁচাতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট এবার যুদ্ধের পথে?

ভারতের একের পর এক ধাক্কায় বেসামাল চীন! মুখ বাঁচাতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট এবার যুদ্ধের পথে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন, এই নিয়ে সারা বিশ্বের চীনের ওপর প্রভাব পড়েছিল। সেই সঙ্গে ভারতের ওপর তাদের আগ্রাসন নীতিকে সামনে এনে চীন যেভাবে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করছে, সেই নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হতে দেখা গেছে তাদেরকে। গত জুলাই মাসের শেষের দিকে একবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলতে শোনা গিয়েছিল শি জিনপিংকে।

তবে সম্প্রতি শোনা গেছে, সেই প্রসঙ্গ আবার উত্থাপন করে আবারও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য উচ্চপর্যায়ের সতর্কতা বার্তা দিতে শোনা গেছে তাঁকে। সম্প্রতি চীনের একটি সরকারি সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার শি জিনপিং শেনঝেন প্রদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। বস্তুত এখানেই ১৯৮০ সালে চীন সরকার বিদেশি পুঁজি অনার জন্য এসইজেড তৈরি করেছিল বলে জানা যায়। আর সেই অনুষ্ঠানেই ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তাঁকে।

বস্তুত এই অনুষ্ঠানের পরই নাকি দক্ষিণ চিনের গুয়ানডংয়ে সেনা বেস ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতির বার্তা দিয়েছেন তিনি। আর রাজনৈতিকবিদদের এখানেই সন্দেহ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, করোনা নিয়ে ভারত আর আমেরিকার সঙ্গে কম ঝামেলা হয়নি তাদের। ভারতের ডিজিটাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে চীনের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল তাদের। আর এখানেই রাজনীতিবিদরা মনে করছেন যে এমন সময়ে জিনপিং সেনা ছাউনিতে গেলেন যখন ভারত ও আমেরিকার সঙ্গে তাদের তীব্র সংঘাত চলছে।

সেই সঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না যে, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সংঘাতও চলছে। আর এমন পরিস্থিতিতে চিনা প্রেসিডেন্টের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার বার্তা তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেক কূটনৈতিক। তাঁদের মতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘাত আগের সমস্ত কথা মুছে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনেকে আবার ‘৬২-র যুদ্ধের কথা মনে করে বলেছেন তখনকার থেকেও অনেক গুণ বেশি আগ্রাসী হয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীন তাণ্ডব চালাচ্ছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সমরাস্ত্র বিক্রি করছে আমেরিকা। যাও কিনা চিন্তার কারণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

জানা গেছে, অত্যাধুনিক রকেট বিক্রি করা হয়েছে তাইওয়ানকে। বেজিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ান ও হংকংয়ের সংঘাত করো অজানা নয়।কিন্তু সেই তাইওয়ানকে আমেরিকা অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হলেও চীনা সরকার ক্ষেপে উঠেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। আমেরিকা অবিলম্বে তাইওয়ানকে রকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক এই দাবি তুলতে দেখা গেছে বিদেশ মন্ত্রীকে।

শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি সেই সঙ্গে সমস্ত রকম সামরিক চুক্তি বাতিল করা হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাইওয়ানে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শাসন নেই। তবে সিপিসি চায় তাইওয়ানকে তাদের দখলে আনতে। আর এই নিয়েই মূলত সংঘাত তৈরি হয়েছিল।

তবে রাজনীতিবিদদের মতে, করোনা থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতি, কয়েকমাস ধরে বেশ ধাক্কা খাচ্ছে চীন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ কোণঠাসা হয়েছে তারা। তাই এসব নিয়ে ঘরোয়া রাজনীতিতেও চাপে রয়েছেন শি জিনপিং। তাই হয়ত সকলের নজর ঘোরাতেই যুদ্ধের কথা বলছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!