এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনে কেমন আছেন মুসলিমরা? সদ্যজাত শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সঙ্গে যা চলছে, জানলে চমকে যাবেন!

চীনে কেমন আছেন মুসলিমরা? সদ্যজাত শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সঙ্গে যা চলছে, জানলে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মাঝে মাঝে আমজনতার জন্য খবর লিখতে বসে, নিজেকেই চমকে উঠতে হয়। এমন কিছু ঘটনা থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা সেই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যায় না। হ্যাঁ ভালো-খারাপ দুই ক্ষেত্রেই এই অনুভূতি হয়। তবে খারাপ অনুভূতির জায়গাটাই বোধহয় বেশি। এবারেও সেই একটি খারাপ অনুভূতির কথাই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।

ঘটনাস্থল হচ্ছে চিন। হ্যাঁ, যেখান থেকে এই করোনা ভাইরাসের জন্ম। আর যার জন্যে আজ সারা বিশ্ব ভুগছে। এই অপূরণীয় ক্ষতি যে কিভাবে পূরণ হবে, কত দিনেই বা পূরণ হবে তা আমরা কেউ জানিনা। এবার সেখানকারই সম্প্রতি একটি ঘটনার কথা শুনলে আঁতকে উঠতে হয়।

সব দেশে যেমন একাধিক সম্প্রদায়ের মানুষের বাস হয়, চিনও তার ব্যতিক্রম নয়। কাজের তাগিদে হোক কি পড়াশুনোর জন্য দেশ কালের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক মানুষই অপর দেশে ঘর বাঁধেন। তেমনই উইঘুর মুসলিমদের একটি সম্প্রদায়ের বাস চীনে। আর তাদের ওপরই অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ জানা গেছে সম্প্রতি।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, চিন থেকে উইঘুর মুসিলমদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে চাইছে চিন সরকার। এই জন্য চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে উইঘুর সম্প্রদায়ের মহিলাদের জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে।এই ঘটনায় মহিলাদের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশি সদ্যোজাত শিশুদের জন্মের পরে হাসপাতালগুলিতেই মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, হলেও ৮ থেকে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বারও গর্ভপাত করানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের সন্তান প্রসব করানোর পরেই সদ্যোজাতকে খুন করে ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর তারপর সেই দেহ গুম করে দিচ্ছেন খোদ নাকি স্বাস্থ্যকর্মীরাই। এর জন্য হাসপাতালগুলিতে আলাদা বিভাগও তৈরি করা হয়েছে।

সরকারের তরফ থেকে এর কারণ স্বরূপ দেশের পরিবার পরিকল্পনা নীতির বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে। সরকারি নির্ধারিত সংখ্যার বেশি যদি কারও সন্তান থাকে অথবা কোনও মহিলা যদি ৩ বছরের মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন, তবে তার সন্তানকে মেরে ফেলা হয় বলেই জানা গেছে।

সরকারি নীতি বাস্তবায়নের জন্য এমন নৃশংস কাজও যে করা যায় তা হয়ত কোনো স্বাভাবিক মানুষ ভাবতে ভাবতেই পারবেন না। সমস্ত কিছুর আগে যে মানব ধর্ম সেটা বোধ হয় আমাদের হিন্দু ধর্মেই আছে। নিজেদের আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে একটা সদ্য প্রাণ মেরে ফেলার অধিকার মনে হয় কারোরই নেই। তবে চীনের এই ঘটনা সত্যিই ক্ষমার অযোগ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!