এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > চীন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে দিল্লিতে সংসদ খুলতেই বিজেপিকে চেপে ধরা শুরু করল তৃণমূল!

চীন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে দিল্লিতে সংসদ খুলতেই বিজেপিকে চেপে ধরা শুরু করল তৃণমূল!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি লোকসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লাদাখ সীমান্তে চীনের আগ্রাসন নিয়ে এক বিশেষ বিবৃতি দিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বিবৃতি দেওয়ার পর সংসদে বিরোধী নেতারায় তাঁদের বক্তব্য পরিবেশনের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভার স্পিকার তাঁদের এই দাবির মান্যতা দেননি। এর প্রতিবাদে বিরোধিবর্গ ‘ওয়াক আউট’ করে সংসদ চত্বর সংলগ্ন গান্ধীর মূর্তির সামনে প্রতিবাদ জানালো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।

গতকালের এই বিক্ষোভে গান্ধী মূর্তি মূর্তির পাদদেশে এসে জড়ো হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, কে সুরেশ ও সেইসাথে কংগ্রেস দলের একাধিক সাংসদ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের একের পর এক অভিযোগ ও বিক্ষভের তোপ ধ্বনি করতে শোনা গেল তাদের। কংগ্রেস সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার চীনের বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এতটা ভীত কেন?

এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, পূর্বে ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় বিরোধী নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ভারত-চীন যুদ্ধ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি মেনে নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরু লোকসভায় দুদিন ধরে আলোচনা চালিয়ে ছিলেন। সাংসদ অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, সেসময়ে যদি এরকম আলোচনা চলতে পারে, তবে, এখন কেন তা হচ্ছে না? প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানান যে, প্রধানমন্ত্রী সংসদের গৌরব নষ্ট করছেন এ প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ” কেউ যদি ভেবে থাকেন সংসদ তাঁর একার, তাহলে ভুল করছেন। এভাবে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যাবে না।”

গতকালের এই বিক্ষোভে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, ” রাজনাথ সিংয়ের কথাতেই স্পষ্ট চীন ইস্যুতে মোদিজি অসত্য বলেছেন। মোদিজি জবাব দিন, কবে তিনি চীনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন?”

গতকাল কংগ্রেসের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা গেল। তৃণমূল দলের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে টুইট করলেন বললেন যে, কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে? কতজন পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন? এর ফলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কি প্রভাব পড়েছে? এই বিষয়গুলিতে কোন তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই। কিন্তু বিরোধীরা এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানতে চাইলেও, এ বিষয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের কোন প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বিরোধীদলের দিক থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক সম্পর্কিত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোন কোন বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, অনাহারের কারণে দেশের কোথাও কোনো পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি? কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে তথ্য না থাকার ব্যাপারে তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, রাজ্যগুলো পরিযায়ী শ্রমিকের ব্যাপারে কোন তথ্য কেন্দ্রের কাছে জমা দেয়নি। একারণেই এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগ কেন্দ্র।

রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক দেখা যায় রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!