প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজয় দশমীর দিনে রাবণ বধের সঙ্গে সঙ্গে কি হতে চলেছে চীনের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ ঘোষণা। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় উপদেষ্টা অজিত দোভাল সকলেই চীনের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেছেন সেইসঙ্গে ভারতীয় সেনার সেনার ব্যাপক প্রশংসা করে, তাঁদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আবেদন জানালেন। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিষয়ে বিশেষ মন্তব্য করলেন।

প্রসঙ্গত গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের জনৈক বিজেপি বিধায়ক সঞ্জয় যাদবের বাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্য বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং। সেদিন বিধায়কের বাড়িতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে তিনি জানান যে, রাম মন্দির তৈরি, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা উচ্ছেদের তারিখ যেমন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করেছিলেন। ঠিক তেমনি ভাবে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তারিখও ঠিক করে রেখেছেন তিনি। সেই অনুযায়ীই কাজ করা হবে।

তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নিমেষের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও দেখে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়লো সাধারণ মানুষের মনে। আবার, গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং সমাজবাদী পার্টি ও বহু জন সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের জঙ্গিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কুশওয়া জানিয়েছেন যে, বিজেপি কর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং।

অন্যদিকে গতকাল রবিবার মহা নবমী দিনে চীনের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য রাখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। গতকাল রবিবার দার্জিলিংয়ের সুকনায় ভারতীয় সেনার ৩৩ নম্বর কর্পসের সদর দপ্তরে শস্ত্র পুজোর আয়োজন করেছিলেন তিনি। পুজোর পর দেশবাসীর প্রতি তিনি জানালেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও কাউকে দখল করতে দেবে না ভারতের সেনাবাহিনী। এভাবে দেশের সেনাবাহিনীকে ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি।

আবার, বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। ভারতীয় সেনার প্রতি তিনি যেমন অগাধ আস্থা জ্ঞাপন করলেন, তেমনই চীনের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্যও করলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” আমাদের অতি অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে। তবে ভারতীয় সেনাও চিনের দুঃসাহসিকতার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।”

এভাবে একাধিক হেভিওয়েটের বক্তব্যে চীন- ভারতের যুদ্ধ বিষয়ে জল্পনা ছড়ালো সাধারণ মানুষের মনে। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ কালে চীন যেসময় থেকে ভারতের বিরুদ্ধে লাদাখে জমি বিবাদ শুরু করেছে, সেসময় থেকেই চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আবহ তৈরী হয়েছে।