চীনের টুকরো টুকরো হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা? কি ঘটছে জিনপিংয়ের দেশে জানলে চমকে যাবেন! আন্তর্জাতিক August 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আন্তর্জাতিক দেশ চীন বরাবরই একনায়কতন্ত্রের ধারক ও বাহক বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সারা বিশ্বে। সাম্প্রতিককালে চীন আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট আলোচিত হয়ে চলেছে। একে তো করোনার কারণে চীনকে রীতিমতো একঘরে করা হয়েছে বর্তমানে। এর ওপরে ভারতে চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে চীনের। এই অবস্থায় চীনের অন্দরে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাতে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে তীব্র মতবাদ প্রকাশ হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বরাবরের অভিযোগ, দেশের মধ্যে যেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলে, তাঁকেই চীন সরকার চরম শাস্তি দেয়। আর এ সবই হয় রাষ্ট্রপতির অঙ্গুলীহেলনে। সম্প্রতি চীনের সেন্ট্রাল পার্টি স্কুলের সিনিয়ার অধ্যাপক এবং পলিটব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য কই জিয়া চীন সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ করেছেন। গত জুন মাসে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে ‘মাফিয়া বস’ বলে অভিহিত করেন স্কুলের অধ্যাপক কই জিয়া। শুধু তাই নয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে তিনি ‘রাজনৈতিক জোম্বি’ বলেও অভিহিত করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তারপর থেকেই তাঁর এবং তাঁর পরিবারের ওপর ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে এই বিবৃতি না ছাপার জন্য। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে তিনি বিবৃতি না ছাপার অনুরোধ করলে তা অডিও আকারে ইতিমধ্যেই প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং যথারীতি কই জিয়াকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনায় চীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের জনগণ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে চীনের অধিকাংশ বাসিন্দা শি জিনপিংকে রাষ্ট্রপতি পদে মেনে নিতে পারছেন না। দেশের অন্দরেই রব উঠেছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি যা ইচ্ছা, তাই করে। যে কারণে সাধারণ জনগণ তাঁদের ভয় পায়। শুধু তাই নয়, দেশের প্রধান হওয়ার কারণে যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেয় সরকারপক্ষ। এমনকি দলের মধ্যেও যদি কেউ অন্যান্য মতামত দেয় তাঁকেও শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চীনে যেভাবে প্রতিদিন গণতন্ত্রের হত্যা হচ্ছে, তাতে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে চীন এখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর সেটিও চীনের লোকেরা ভালোভাবে নিচ্ছেনা বলে শোনা যাচ্ছে। এই অবস্থায় চীনা রাষ্ট্রপতি নিজের দেশকে কিভাবে সামাল দেন, সে দিকেই নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -