এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সারদা তদন্ত গুটিয়ে আনতে জোর তোড়জোড়, প্রস্তুতি চূড়ান্ত চার্জশিট, রয়েছে অনেক প্রভাবশালী হেভিওয়েটের নাম

সারদা তদন্ত গুটিয়ে আনতে জোর তোড়জোড়, প্রস্তুতি চূড়ান্ত চার্জশিট, রয়েছে অনেক প্রভাবশালী হেভিওয়েটের নাম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সব থেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ সারদা-কাণ্ড। বেআইনি অর্থলগ্নি সংক্রান্ত এই মামলায় বিভিন্ন সময় তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে সারদা মামলার প্রকাশ্যে আসার পরেই আরও অনেক ছোটখাটো চিটফান্ড কোম্পানি বিপাকে পড়ে। যে ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরেই রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও থমকে রয়েছে। লকডাউনের কারণে তা আরও শিথিল হয়ে গিয়েছে। তবে এবার কি অবশেষে এই মামলা গতি পেতে চলেছে?

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তা ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে, বেআইনি অর্থলগ্নি নিয়ে যে সমস্ত মামলা হাতে রয়েছে, তা এই বছরের মধ্যে শেষ করে দিতে হবে। আর তার এই বার্তা থেকেই পরিষ্কার যে, এবার ধীরে ধীরে সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ড মামলায় সিবিআই প্রবল পরিমাণে তৎপরতা দেখাবে। জানা গেছে, সিবিআইয়ের হাতে থাকা আরও 82 টি মামলার তদন্তও শুরু হচ্ছে। 2020 সালের শেষের দিকে সেই সমস্ত মামলার চার্জশিট জমা পড়তে পারে।

আর বর্তমান সময়ে যদি সিবিআই আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে এই সমস্ত চিটফান্ড কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তাদের মামলার গতি-প্রকৃতি বাড়িয়ে দেয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জানা গেছে, গত 2014 সালে সারদা নিয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে সিবিআইকে 393 টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। আর সেখান থেকেই বাছাই করে 78 টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বেশকিছু চার্জশিটও পেশ করা হয়। কিন্তু তারপরেও তদন্ত প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে স্তব্ধ হতে শুরু করে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দিদি এবং মোদির মধ্যে সেটিং হয়েছে। আর তাই তদন্ত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার সেই তদন্ত প্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু হওয়ায় অনেক প্রভাবশালী চাপে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, “সারদার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত চার্জশিট দিল্লির সদরদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিত পথে কুড়ি জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে, অথবা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে মদন মিত্র থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় শ্রীঘর পর্যন্ত গিয়েছেন। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আধিকারিকের কথা অনুযায়ী কুড়ি জন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদিও কার কার নাম আছে সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি তদন্তকারী সংস্থা। অবশ্য এই নিয়ে বিরোধীদের দাবি এবার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে। তবে মাঝে সম্পূর্ণরূপে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সোচ্চার হতে দেখা যায় অনেককে।

কেন এইভাবে মানুষের টাকা যারা আত্মসাৎ করল, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না! তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে অনেকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার চলতি বছরের মধ্যে হাতে থাকা সমস্ত মামলা সমাপ্ত করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারই অঙ্গ হিসেবে অফিসারদের সেই তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়ায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির ঘুম উড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার বিষয়, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়া কোন দিকে এগোয়, চূড়ান্ত চার্জশিটে কাদের কাদের নাম থাকে এবং সেই নামের ভিত্তিতে কোন রাজনৈতিক দলের অস্বস্তি সবথেকে বেশি বাড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!