এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্দোষ হলে জেরায় ভয় কিসের? চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সোমেন মিত্র

নির্দোষ হলে জেরায় ভয় কিসের? চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সোমেন মিত্র

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে যখন রাজ্য বনাম কেন্দ্রের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে, ঠিক তখনই এবার সেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে হঠাৎই হানা দেয় সিবিআই।

আর এর প্রতিবাদেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে যান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে 24 ঘন্টা আগে সেই মেট্রো চ্যানেল থেকে নিজের ধরনা তুলে নিয়ে দিল্লিতে সেই ধরনা হবে বলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালে পাল্টা সেই ধর্মতলাতেই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি করে সেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন ধর্মতলায় এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “চিটফান্ড সংস্থাগুলির হাতে লক্ষাধিক মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। আর এই আশঙ্কা থেকেই আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির সূত্রেই সিবিআই আমাকে ডেকেছিল। আমার সৎ সাহস ছিল বলেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে ডাকলেও তিনি জেরার মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন কেন? রাজীব কুমারের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ধরনায় বসছেন তা সত্যিই লজ্জার বিষয়।”

অন্যদিকে সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের ধস্তাধস্তি নিয়েও এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। এদিকে এদিনের এই প্রতিবাদ সভায় কংগ্রেস কাউন্সিলার প্রকাশ উপাধ্যায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পৌরসভা সারদার ট্রেড লাইসেন্স বেআইনিভাবে পাইয়ে দিয়েছিল। আর এইসব কেলেঙ্কারি ফাঁস হলে দলের মাথারাও ফেসে যাবেন। তাই তদন্তকে আটকাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।”

এদিকে কংগ্রেসের রাজ্যের শাসক দলকে উদ্দেশ্য করে এহেন খোঁচার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মুখ খুলে তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস তো এই রাজ্যে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ওদের দিল্লির নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর ধরনাকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার ওরা এখানে এনিয়ে মিছিল করছে। সত্যিই ওদের বোঝা বড় দায়!” সব মিলিয়ে এবার ধর্নাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের শাসক দলকে কড়া ভাষায় বিধল প্রদেশ কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!