এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য সুখবর – আদালতের কড়া নির্দেশে টাকা ফেরতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল

প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য সুখবর – আদালতের কড়া নির্দেশে টাকা ফেরতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল


অবশেষে কি তাহলে নিজেদের খুইয়ে যাওয়া টাকা পেতে চলেছেন চিটফান্ড কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীরা? সূত্রের খবর, রোজভ্যালির প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইতিমধ্যেই ইডির পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় এমনই জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে

। তবে সংস্থার আপত্তি না থাকলে এই রোজভ্যালি থেকে পাওয়া অর্থ সেখানকার বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই নিজেদের অভিমত জানানোর জন্য সেই সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে যদি টাকা বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হয় তাহলে তা কিভাবে ফেরত দেওয়া হবে সেই ব্যাপারেও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ তা বিচার করবে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, এদিন ইডির তরফে একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, পূর্বের হলফনামা মোতাবেক রোজভ্যালির 359.75 কোটি টাকার অস্থাবর এবং 565. 99 কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য তারা পদক্ষেপ নিয়েছিল।

পাশাপাশি এই সংস্থার ব্যাংক একাউন্ট থেকে 55.19 কোটি এবং স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে 330.14 কোটি টাকা ছাড়াও বিপনি মেসার্স অদ্রিজা গোল্ড কর্পোরেশন থেকে নগদ 12 লক্ষ 70 হাজার 140 টাকা এবং 41 কোটি টাকার গয়না পাওয়া গেছে। এদিকে এদিন আদালতে এই হলফনামা পেশ করার সময়ই একাংশ প্রশ্ন তোলেন যে, তাহলে সংস্থার এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে পাওয়া অর্থ ঠিক কিভাবে বিনিয়োগকারীরা ফেরত পাবেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, তখনই কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী কৌশিক চন্দ আদালত কে জানিয়ে দেয় যে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী যেহেতু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকেই এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাই বিশেষ আদালতই সেই বিষয়টি বিচার করবে। অন্যদিকে এদিন আদালতের পক্ষ থেকে অ্যালকেমিস্টের উদ্দেশ্যেও প্রশ্ন করা হয় যে, 497 কোটি টাকা তারা ওয়ান ম্যান কমিটিকে দেবে বলে জানালেও তা ঠিক কবে দেওয়া হবে?

আর এই প্রশ্নের জবাবে সেই সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, সারা দেশে এই সংস্থার প্রায় 1 লক্ষেরও বেশি বিনিয়োগকারী ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে টাকা পাওয়ার জন্য মামলা করলেও তা লড়তে গিয়ে তাদের আইনজীবীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এমনকি আয়কর দপ্তরের কাছে বকেয়া না থাকা সত্ত্বেও অ্যালকেমিস্টের সমস্ত সম্পত্তি ভবিষ্যতের পাওনা আদায় নিশ্চিত করতে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করে এই সংস্থা।

অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীদের আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাশ জানান, 2017 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টে আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চললেও এই সময়সীমা 2018 পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে আদালত একটু বিবেচনা করুক। সব মিলিয়ে এবার চিটফান্ড কাণ্ডে প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরতের সম্ভাবনা আদালতের নির্দেশে আরও উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠতে শুরু করল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!