এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের চিটফান্ড তদন্তে নয়া মোর, শোরগোল রাজ্যে

রাজ্যের চিটফান্ড তদন্তে নয়া মোর, শোরগোল রাজ্যে

সারদা থেকে নারদা অথবা রোজভ্যালি প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির যোগসূত্র রয়েছে। সম্প্রতি এই তিনটি কান্ডের আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে গতি-প্রকৃতিতে কিছু তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সিবিআইয়ের কড়া জেরার মুখে পড়তে হয়। এই তালিকায় রাজনৈতিক নেতা থেকে পুলিশের কমিশনার প্রত্যেকেই আছেন। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বারংবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েন তাঁরা। তদন্তের গতিমুখ যত এগিয়েছে, ততই বাংলার রাজনীতিতে চলেছে উথাল-পাথাল। এবার আবারও বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে সমালোচনা শুরু হলো সারদা, নারদা ও রোজভ্যালি মামলার আইওকে বদলি করা নিয়ে।

ইতিমধ্যে, কলকাতা অফিস থেকে সারদা, নারদা ও রোজভ্যালি মামলার তদন্তকারী অফিসারকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কলকাতা অফিসে তাঁদের বদলে কারা আসছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা মামলার যিনি আইও ছিলেন অর্থাৎ তথাগত বর্মন এবং নারদ মামলার আইও রঞ্জিত কুমারকে বদলি করা হয়েছে দিল্লিতে। অন্যদিকে জানা গেছে, রোজভ্যালি মামলার দুই তদন্তকারী অফিসার বা আইও বদলি হয়েছেন ভুবনেশ্বরে।

এর আগে 2020 সালের শুরুতেই বড়সড় রদবদল হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইএর কলকাতা শাখাতেও। বেশ কয়েকটি রদবদল হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, কলকাতা থেকে যাঁদের বদলি করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন ছিলেন এসপি এবং একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। সেসময় দেশজুড়ে 19 জন আধিকারিককে সিবিআই এর তরফ থেকে বদলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সিবিআই এর তরফ থেকে জানা গেছে, কলকাতার সিবিআই দপ্তর থেকে এসপি পার্থ মুখোপাধ্যায়কে বদলি করা হয়েছে দিল্লির হেডকোয়ার্টারে এআইজি পদে। অন্যদিকে, তাঁর জায়গায় এসেছিলেন এসপি পদমর্যাদার শান্তনু কর। যিনি কলকাতাতেই কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ভুবনেশ্বর থেকে এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক জয় নারায়ন রানাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং এএসপি পদমর্যাদার সঞ্জয় সিনহাকে দিল্লি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। অন্যদিকে, সিবিআই দাবি জানিয়েছে এটি একটি সাধারণ রুটিন বদলি।

প্রসঙ্গত, সিবিআই তরফ থেকে জানানো হয়েছে বদলির আগে যেভাবে সিবিআই তৎপরতা দেখিয়েছিল চিটফান্ড কান্ডগুলিতে, আগামী দিনেও সেই তৎপরতাই চলবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রোজভ্যালি কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার গৌতম চক্রবর্তীকে সিবিআই অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সিবিআই তরফ থেকে 2019 সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রথম চার্জশীট জমা পড়েছিল এই চার্জশিটে নাম ছিল প্রযোজক গৌতম কুন্ডু প্রায় 17 হাজার 500 কোটি কোটি টাকার প্রতারণা মামলার চার্জশিট জমা পড়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। ইতিমধ্যে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গৌতম মোহন চক্রবর্তীকেও চেটফান্ড মামলায় কড়া জেরা চালিয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয়ে যায় সিবিআই দপ্তর। কিছুতেই তাঁরা রাজীব কুমার এর নাগাল পায় না। বারবার রাজীব কুমার আদালতের কাছ থেকে গ্রেফতারি এড়াতে থাকেন। ইতিমধ্যে রাজিব কুমারের আইনি কবচকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সূত্রের খবর, নতুন বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে।

আপাতত সিবিআইয়ের এই রদবদলের ফলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। হঠাৎ করে এই রদবদলের ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এবার সারদা, নারদা এবং রোজভ্যালি কাণ্ডে ওপর পর্দা পড়ার সময় হলো! অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে হঠাৎ করে এই রদবদল সিবিআইয়ের উচ্চপদে, বিভিন্ন রকম প্রশ্নের সম্মুখীন করছে তাঁদের। অন্যদিকে, সিবিআই এর তরফ থেকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটিকেই খুবই সাধারণ রদবদলের নাম দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!