এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চিটফান্ড কাণ্ডে সংসদে তৃনমূলকে তীব্র আক্রমন বিজেপির, উঠলো মমতা-অভিষেক প্রসঙ্গও

চিটফান্ড কাণ্ডে সংসদে তৃনমূলকে তীব্র আক্রমন বিজেপির, উঠলো মমতা-অভিষেক প্রসঙ্গও


 

সারদা থেকে নারদা বিভিন্ন চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা নতুন কিছু নয়। আর এই সমস্ত চিটফান্ডের ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা থেকে মন্ত্রী এবং সাংসদদের শ্রীঘরে যেতেও দেখা গেছে। যার ফলে চিটফান্ডকে ইস্যু করে বিজেপির তরফে তৃণমূলকে আক্রমণ করার প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এবার সংসদের অধিবেশনের প্রথম দিনেই চিটফান্ড ইস্যুতেই তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা চরম আকার ধারণ করল।

একদিকে চিটফান্ড কাণ্ডে যেমন তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা, ঠিক তেমনই পাল্টা তৃণমূলের হয়ে ব্যাটিং করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সূত্রের খবর, এদিন সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রথম দিকে চিটফান্ড ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গরিব মানুষের টাকা লুট করেছে।যা রুখতে নরেন্দ্র মোদী চৌকিদারের মত সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন। আর তাতেই তৃণমূল ভয় পাচ্ছে।”

 

শুধু তাই নয়, চিটফান্ড ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ এবং যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও এদিন সংসদে তুলে লকেট চট্টোপাধ্যায়।তবে চিটফান্ড সংশোধনী বিলের আলোচনায় কেন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে! এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি সাংসদের কিছু কথা রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকারের আসনে বসা প্যানেল অফ চেয়ারপার্সন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

 

পাশাপাশি চিটফান্ডের বিষয়টিকে নিয়ে যাতে কেউ রাজনীতি না করে, সেই ব্যাপারে এদিন সংসদে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন চিটফান্ড ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে, ঠিক তখনই পাল্টা “চিটফান্ডের এক মালিকের সঙ্গে বিদেশ গিয়েছিল” বলে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেলে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, প্রতিমা মন্ডল এবং অসিত মালরা।

এদিকে এদিন এই চিটফান্ড ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও। আর রাজ্য রাজনীতির বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে পরিচিত চিটফান্ডের ঘটনা লোকসভায় ওঠায় এদিন তা অন্য মাত্রা পেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কেননা সারদা থেকে নারদা বিভিন্ন ঘটনায় যখন তৃণমূল জড়িত বলে দাবি করছে বিজেপি, ঠিক তখনই এই ইস্যুতে সংসদে তৃণমূল-বিজেপি সাংসদদের মধ্যেকার তরজা আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কোন মোড় নয়, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!