এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কয়েকশ বছর আগে চিঠি পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হত রকেট? সেই পদ্ধতি জানলে চমকে যাবেন আপনিও

কয়েকশ বছর আগে চিঠি পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হত রকেট? সেই পদ্ধতি জানলে চমকে যাবেন আপনিও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –

বর্তমান টেকনোলজির যুগে অফিসিয়াল কিছু কাজকর্ম ছাড়া চিঠি পাঠানো নেহাৎ পুরনো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে অফিসিয়াল অনেক কাজের ক্ষেত্রেই আজকাল বৈদ্যুতিন চিঠি বা ইমেইল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আজ থেকে কয়েকশ বছর আগেও কিন্তু চিঠিই ছিল মানুষের কাছে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। সেখানে ইন্টারনেট আসার পর থেকেই এই চিঠির গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে।

বস্তুত, বার্তা প্রেরণের মাধ্যম হিসেবে চিঠি ছাড়াও আগেকার দিনে অনেক মাধ্যম ছিল। সেখানে কালিদাসের মেঘদূতমে কখনো মেঘই হয়ে উঠেছে বিরহী যক্ষের বার্তা প্রেরক, আবার পায়রার মাধ্যমে কোনো বিরহিনী নারীর যন্ত্রণা জানান দিয়েছে প্রেমিকের কাছে। তবে প্রাচীনকালে চিঠি প্রেরণের ক্ষেত্রে মিসাইল বা রকেটের ব্যবহার করা হত, সেটা শুনে আবার হবেন হয়তো অনেকেই।

জানা যায়, মিসাইল ও রকেটের মাধ্যমে চিঠিপত্র পাঠানোর ধারণা আসে মধ্যযুগের একটি রীতি থেকে। বস্তুত, মধ্যযুগে নদীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে বা এক দূর্গ থেকে অন্য দূর্গে খবর পাঠানোর জন্য মানুষ তীর এবং বর্শা ব্যবহার করত। আর সেই থেকেই ১৮৮০ সালে হেনরিক ভন ক্লিস্ট নামে এক জার্মান লেখক প্রথম আর্টিলারি সেলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র পুরে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও সেইসময় এই প্রস্তাব হাস্যকর বলেই মনে করেছিলেন অনেকে, তবে ১৯ শতকের শুরুর দিকে টঙ্গার নিউয়াফো দ্বীপের অধিবাসীদের কনগ্রিভ রকেটের মাধ্যমে চিঠিপত্র পাঠানোর কথা শোনা যায়। তবে এই অভিনব পদ্ধতি নেওয়ার পিছনে দ্বীপটির কোনো সৈকত কিংবা নৌবন্দর না থাকার কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে রকেটের মাধ্যমে চিঠিপত্র পাঠানোর প্রথম সফল হয় অস্ট্রিয়া এবং ইন্ডিয়া।

সেই সময়কাল ছিল ২০ শতকের শুরুর দিক। অস্ট্রিয়ান উদ্ভাবক ফ্রেডরিখ স্কিমেল্ড রকেটের মাধ্যমে সফলভাবে ৬ কিলোমিটার দূরেও চিঠিপত্র পাঠাতে সক্ষম হন। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে অস্ট্রিয়ার সরকার এই প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান এয়ারমেইল এর চেয়ারম্যান স্টিফেন স্মিথ সফলভাব ৮০ টি রকেট এর মাধ্যমে চিঠিপত্র আদান প্রদান করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র রকেটের মাধ্যমে চিঠিপত্র পাঠানোর সর্বশেষ চেষ্টাটি করে।

১৯৩৬ সালে প্রথম নিউইয়র্ক থেকে নিউ জার্সিতে সফলভাবে এয়ারমেইল বা রকেটে করে চিঠি পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আই-এ গাইডেড মিসাইলগুলি একত্রে প্রায় ৩ হাজার চিঠি বহন করতে পারত। এছাড়াও এসকল মিসাইল ২০০ মাইল দূরের টার্গেটেও সফলভাবে পৌঁছে দিতে পারতো। যদিও মার্কিন পোস্টাল সার্ভিস কখনো অফিশিয়ালভাবে এয়ারমেইল চালু করেনি, তবে আজকের দিনে চিঠি প্রেরণের এই মাধ্যমের কথা শুনলে অবাক হতে হয় বৈকি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!