এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চন্দ্রকোনার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলকে বজ্রনির্ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর

চন্দ্রকোনার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলকে বজ্রনির্ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ চন্দ্রকোনার বিজেপির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন দেশের মধ্যে সবথেকে সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ। তাঁর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, তৈরি করে দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী, আশ্রয় দিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ি। এদিকে, দল ছাড়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে বেশ কয়েকবার বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আজ তার মোক্ষম জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, তাঁকে বেশ কয়েকবার বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁকে বারবার বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর বলা হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের এমপি পরপর চারবার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির সঙ্গে জোট করে তিনবার তিনি জয়লাভ করেছেন। দুবার অটল জির মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছেন তিনি। একবার তিনি রেল মন্ত্রী হয়েছেন, একবার হয়েছেন কয়লা মন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, তাঁর কাছ থেকে ও তাঁর দলের কাছ থেকে কি তাঁকে বিশ্বাসযোগ্যতার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে?

শুভেন্দু অধিকারী শাসকদল তৃণমূলের প্রতি বিস্ফোরক অভিযোগ এনে জানালেন যে, সারা ভারতবর্ষের সবথেকে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দল হলো তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি ও তার নেত্রী। যারা সর্বদা মানুষকে ব্যবহার করেছে। অটল বিহারি বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদভানি যদি ১৯৯৮ সালে আশ্রয় না দিতেন, তবে খুঁজে পাওয়া যেত না দলকে। শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, তিনি হলেন চেনা লোক।২০১৮-তে তিনি ক্রেডিট নিতে আসেন নি। তিনি পৌরসভাগুলোর দায়িত্ব বেছে নিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানান, একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড উঠে গিয়েছিলো। সে সময় দরজা খোলার লোক পাওয়া যেত না। তোলাবাজ ভাইপোকে তখন কেউ দেখতে পায় নি। তখন তিনি পার্টি অফিস খুলে বসতে বলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, চাষিরা আলুর দাম পায়নি। মিল মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের সর্বনাশ করা হয়েছে। তৃণমূলের কাছে তিনি দাবি করেছেন যে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে তাকে জানাতে, কত স্থায়ী পদ তুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যসাথী, প্রথশ্রী এই সমস্ত কিছু ঢপের চপ। তিনি জানিয়েছেন নির্বাচনের সময়ে নার্সিংহোমের সাথে মিটিং করে বলা হয়েছে তিন মাস পার করে দিতে। তিনি জানিয়েছেন তৃণমূল দল হল একটা কোম্পানি। তার কর্মচারী হয়ে তিনি থাকতে পারবেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, তাকে তিনি তোলাবাজ বলেছেন বলে, তাঁর গায়ে লেগে গিয়েছে। তৃণমূল হলো টিকা চোর, এবার কিডনি চুরি করবে বলে কটাক্ষ করলেন। তৃণমূলকে ঢপবাজ, ফ্রড বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি।

তিনি জানালেন যে, ভোট আসবে, পথে হাঁটবেন তিনি। কেউ রুখতে পারবে না। বাম কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, লাল ঝান্ডায় তাঁরা মিটিং করুন, কিন্তু ভোট এবার পদ্ম ফুলে দিন। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে, কয়েক বছরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে লক্ষ লক্ষ স্থায়ী পদ বাতিল করে দেয়া হয়েছে। রাজ্যে শিল্প নেই, বেকারের সংখ্যা তীব্র আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!