এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছত্রধর মাহাতো থেকে বিমল গুরুং, কোন ফর্মুলায়, কেন তৃণমূলে ফিরছেন ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ ঘোষ

ছত্রধর মাহাতো থেকে বিমল গুরুং, কোন ফর্মুলায়, কেন তৃণমূলে ফিরছেন ‘ফাঁস’ করে দিলেন দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান সময়টা বিজেপি পক্ষে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। পাহাড়ের সংগঠনকে মজবুত করার জন্য একসময় বিমল গুরুং বিজেপির পালে অক্সিজেন লাগালেও, এখন সেই বিমলবাবু এনডিএ ত্যাগ করে তৃণমূলের হাত ধরার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর এই ঘটনায় বিজেপি উত্তরবঙ্গে যে অনেকটাই চাপে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ছত্রধর মাহাতো যেমন তৃণমূলের সক্রিয় হয়েছেন, ঠিক তেমনই দীর্ঘদিন পর বিমল গুরুংয়ের এই তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশের পেছনে অন্য যুক্তি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

ঠিক কী কী কারণে ছত্রধর মাহাতো থেকে শুরু করে বিমল গুরুং তৃণমূলে ফিরছেন, এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোষ্টের মাধ্যমে তা ফাঁস করে দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যেখানে তিনি লেখেন, “বিমল গুরুং পাহাড় ছাড়া ছিলেন। দীর্ঘদিন পাহাড়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। তাই আত্মসমর্পণ করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুতেই ছাড় মেলে। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছত্রধর মাহাতো। এখন দেখার, বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলার কি হয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুই ছাড়।”

অর্থাৎ দিলীপবাবু তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, ছত্রধর মাহাতো থেকে শুরু করে বিমল গুরুং সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা এখন ধীরে ধীরে তুলে দিতে শুরু করবে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার বঙ্গ রাজনীতিকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েক মাস অজ্ঞাতবাসে কাটিয়ে বুধবার কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিমল গুরুং। যেখানে বিজেপিকে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন বিমল গুরুং। আর এই গোটা ঘটনাকে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অনেকটাই চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার এই ব্যাপারে মুখ খুলে দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সকলেই আত্মসমর্পণ করছেন। তাই তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, উত্তরবঙ্গের মানচিত্রে বিমল গুরুং কিছুটা হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। গত লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিংয়ের বিমল গুরুংয়ের ক্যারিশমাতেই অনেকটা জয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এবার সেই বিমল গুরুং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে। শুধু তাই নয়, জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতোকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল তাদের সংগঠন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।

সেদিক থেকে সেখানে বিজেপি চাপে পড়তে পারে। তা দীর্ঘদিন ধরে অন্তরালে থাকা নেতাদের আবার নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের দিকে নিয়ে আসায় পাল্টা খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাই তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!