এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছত্রধর তৃণমূল নেতা, ছেলেদের সরকারি চাকরি! চাপ বাড়িয়ে প্রাক্তন সাথীরাও করলেন মহাবৈঠক!

ছত্রধর তৃণমূল নেতা, ছেলেদের সরকারি চাকরি! চাপ বাড়িয়ে প্রাক্তন সাথীরাও করলেন মহাবৈঠক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা চাকরি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল মাওবাদী হামলায় নিহত এবং নিখোঁজদের পরিবারের মধ্যে। তবে সম্প্রতি জেলা সফরে এসে সেই চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক সেরে কলকাতা ফিরে চলে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জনসাধারণ কমিটির 30 জন প্রাক্তন সদস্য বৈঠকে বসলেন। কিন্তু কি নিয়ে এই বৈঠক?

জানা গেছে, জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন সদস্যরা দাবি তুলতে শুরু করেছেন যে, এবার তাদের চাকরির বন্দোবস্ত করতে হবে। কেননা তারা জঙ্গলমহলের অশান্তি পর্বের সেই আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তবে এই বৈঠক নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে যে, এই বৈঠকে যারা ছিলেন, তাদের বেশিরভাগ তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক সেরে যাওয়ার পর এইভাবে জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন সদস্যদের আলোচনা নিঃসন্দেহে গুঞ্জন বাড়াতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলে।

অনেকে বলছেন, জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন নেতা ছত্রধর মাহাতো বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদে রয়েছে। তাকেই মুখ করে আগামীদিনে জঙ্গলমহলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন অনেক সদস্য এখন সেই দিকে আঙুল তুলে ছত্রধর মাহাতোকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হলেও, কেন তাদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে না! সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

তবে জনসাধারণ কমিটি প্রাক্তন সদস্যরা চাকরির ব্যাপারে দাবি তুললেও, তাতে সমর্থন করেছেন ছত্রধর মাহাতো। তিনি বলেন, “জনসাধারণ কমিটির আন্দোলনে যারা ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিগত বাম সরকার বহু মিথ্যা মামলা করেছে। সেই সব মামলায় বহু মানুষ জেরবার হচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তারা আন্দোলন করেছিলেন। ফলে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে। আমাদের জননেত্রী মুখ্যমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন। ফলে তার নজরে বিষয়টি এলে নিশ্চয়ই তিনি বিবেচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন সদস্যদের এই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এর পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুর গ্রামীনের তৃণমূল নেতা অঞ্জন বেরা বলেন, “একটা বৈঠক হয়েছে বলে শুনেছি। একসময় যারা জনসাধারণের কমিটি করত, তাদের কয়েকজনই না কি বৈঠকে ছিল। নতুন করে জঙ্গলমহলে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে‌‌। বিজেপি ওদের উস্কানি দিচ্ছে।” এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুজয় দাস বলেন, “তৃণমূল সবেতেই বিজেপির ভূত দেখে। এই বৈঠকের সঙ্গে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই।” তবে যে যাই বলুন না কেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক সেরে কলকাতা পৌঁছনোর সাথে সাথেই যেভাবে জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন সদস্যরা বৈঠক করতে শুরু করলেন, তাতে চিন্তা বাড়ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!