এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চুঁচুড়া পুরসভার দুর্নীতি ঘিরে কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের, জেনে নিন

চুঁচুড়া পুরসভার দুর্নীতি ঘিরে কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে ততই সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। করোনা পরিস্থিতিতে রেশনিং দুর্নীতি থেকে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় আমফানের পর ত্রাণ বিলি পর্যন্ত সবেতেই বিরোধীদল সুর চড়িয়েছে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তবে যত দিন যাচ্ছে, শাসকদলের দুর্নীতি কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে বলে মত রাজ্যের বিরোধী দলগুলির। সম্প্রতি চুঁচুড়া শহরের দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয় রীতিমত রাজনৈতিক জলঘোলা।

এবং এই দুর্নীতি নিয়ে শুধুমাত্র বিরোধীরাই নয়, শাসক দলের মধ্যেও দুই গোষ্ঠীর কোন্দল ধরা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চুঁচুড়া পৌরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন সেখানকার অস্থায়ী কর্মীরা এবং বিরোধী শিবির। তবে এদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য প্রশাসন বলে জানা গেছে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগের জন্য একটি পরীক্ষা হয় সম্প্রতি। কিন্তু পরীক্ষার ফল বেরোনোর পর দেখা যায় প্যানেলে নাম রয়েছে বিদা‍য়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের ঘনিষ্ঠ বেশকিছু তৃণমূল কর্মীর।

যথারীতি অভিযোগ ওঠে স্বজনপোষণের। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগকে একধারে সরিয়ে রেখে মনোনীত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই নিয়োগপত্র পেয়ে পুরসভার কাজে যোগ দেন বলে জানা গেছে। তারপরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিরোধীরা এবং পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে এই ঘটনার কথা ওঠে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কানে। এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরেই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোজাসুজি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর কাছে চুঁচুড়া পুরসভার এই দুর্নীতি তুলে ধরেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং পরবর্তীতে ফিরহাদ হাকিম সরাসরি এই নিয়োগ বাতিল করে দেন। কিন্তু নিয়োগ বাতিলের সংবাদ এলেও কোন সরকারি নির্দেশনামা এতদিন পর্যন্ত চুঁচুড়া পুরসভায় আসেনি। যার ফলে অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ কিছুতেই প্রমাণিত হচ্ছিল না। এতে অস্থায়ী কর্মীরা শুরু করে তীব্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার এই আন্দোলনের জেরে চুঁচুড়া পৌরসভা খোলা যায়নি বলে জানা গেছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে চুঁচুড়া পুরসভার বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারিভাবে বাতিল হওয়ার চিঠি এসে পৌঁছায় দপ্তরে।

আর এই খবর পেয়ে অস্থায়ী পুরকর্মীরা রীতিমতো জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে। অন্যদিকে এই বিষয়ে বিদায়ী উপ পৌর প্রধান অমিত রায় জানিয়েছেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্যানেল বাতিলের কথা আগেই উল্লেখ করেছিলেন। শুক্রবার সরকারিভাবে নিয়োগ বাতিলের চিঠি এসে পৌঁছায় দপ্তরে। তবে দুর্নীতির তদন্তের বিষয়টিতে জোর দেবার কথা অমিত রায় এদিন তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরো প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় এই নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, চুঁচুড়া পুরসভার দুর্নীতি যেভাবে সর্বসমক্ষে এসে পড়েছিল এবং নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ করার জন্য রাজ্য প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করলো, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীদের মতে, দুর্নীতি যেভাবে শাসকদলের অন্দরে চেপে বসেছে, তা এত সহজে দূর হবার নয়। আপাতত প্রশ্ন উঠেছে, শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক জল্পনা চলছে চারিদিকে তাতেই কি এবার শাসকদল নড়েচড়ে বসল? নাকি 2021 এর নির্বাচনে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে নতুন পরিকল্পনা?

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!