চূড়ান্ত অশ্লীল মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন বিজেপি সাংসদ, সমালোচনার ঝড় রাজনৈতিক মহলে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য January 10, 2020 ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে অশান্তির ঝড় উঠেছে ও সেই বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতে গিয়ে এবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। যা সাম্প্রতিক কুরুচিকর সমস্ত কথার রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। এই অশ্লীল মন্তব্যকে ঘিরে ফের একবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে বাংলার রাজনীতিতে। এই মন্তব্য কে নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। গত সপ্তাহে ময়ূরেশ্বর বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করতে এদিন বাঁকুড়া যান সাংসদ সুভাষ সরকার। এবং সেখানে গিয়েই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি দাড়িভিট এর ঘটনা তুলে এনেছেন। তিনি বলেন, দাড়িভিট এর ছাত্ররা বাংলা শিক্ষকের দাবি নিয়ে যখন আন্দোলন করেছিল, তখন পুলিশ গুলি চালিয়ে ছিল ছাত্রদের বুকে। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে যে আন্দোলন চলছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, সম্প্রতি যে ভাঙচুর হয়েছে ট্রেনে, তার জন্য দায়ী জেহাদী অনুপ্রবেশকারীরা। তাদেরকে ঠেকাতে পুলিশের বন্দুকে মুখ্যমন্ত্রী কি লাগিয়ে রেখেছিলেন? সুভাষ সরকার এরপর দাবী জানান, পুলিশের বন্দুকে মুখ্যমন্ত্রী কণ্ডোম লাগিয়েছিলেন, তাই গুলি বের হয়নি। উনি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যাদের ভোট নেওয়ার জন্য বসে আছেন, তারাই এই কাজটি করেছেন। এরপর তিনি আরো বলেন পরিষ্কারভাবে যে পুলিশের বন্দুকে নিরোধ পরিয়ে রাখার অর্ডার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিজেপি নেতার এই বক্তব্যটি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে। এদিন তৃণমূলের দলীয় সম্মেলন থেকেই অনুব্রত মণ্ডল সুভাষ সরকারের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘সুভাষবাবু ডক্টর, পার্লামেন্টের এমপি। কিভাবে তিনি বলেন, বন্দুকের নলে কণ্ডোম পড়ানোর কথা! পার্লামেন্টে যখন কথাটা উঠবে, ভালো লাগবে? এটা বলা যায়? মানুষ ভালো বলবে? উনি আদৌ ডক্টর তো? এসব রাখাল বাগালকে বের করে দেওয়া উচিত। আগেও বারবার দেখা গেছে পরস্পরকে আক্রমণের সময় শালীনতার বেড়াজাল ভেঙেছেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্য চরম শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উল্লেখ্য, এর আগে ধর্ষণ নিয়ে কবিতা লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কবি শ্রীজাত। ত্রিশূলে কনডম পড়ানোর প্রসঙ্গ এনে তিনি হিন্দুত্ববাদীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েন। রীতিমতো বিক্ষোভ হয় এই কবিতার বিপক্ষে সেসময়। প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন বিজেপি নেতারাও। কিন্তু এবার সেই পদ্ম শিবিরের নেতাই কণ্ডোম প্রসঙ্গ তুলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আপনার মতামত জানান -