সরকারি অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে এবার কি পদত্যাগ করতে চলেছেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী? তৃণমূল বর্ধমান রাজনীতি August 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃনমূল নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা তৈরিতে সাংগঠনিক পরিবর্তন করলেও দলের মধ্যে এখনও যে গোষ্ঠী কোন্দল মেটেনি, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এবার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান হলেও সেখানে আমন্ত্রণপত্রে নামই থাকল না আদিবাসী সদস্যা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বুড়ি টুডুর। স্বাভাবিকভাবে গোটা ঘটনায় এখন তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমন্ত্রণপত্রে নিজের নাম না থাকায় রীতিমত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বুড়ি টুডুর। যার ফলে এখন তার রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বছর 9 এবং 10 আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার কমিউনিটি হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয়। আর সেই আদিবাসী দিবস পালন নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়ে অনেকে। অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমান জেলা অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগের কর্তৃক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র নামই ছিল না কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রীতিমত সরব হয়েছেন বুড়ি টুডু। এদিন তিনি বলেন, “আমন্ত্রণপত্র দেখার পর ব্লকের মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম।আদিবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠান, অথচ সেই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নাম নেই। তাতে অপমানিত ও অসম্মানিত বোধ করছি। আরও অসম্মানিত বোধ করছি, আদিবাসী দিবস পালনে সমাজ আমার কাছে প্রশ্ন করেছে। তাই অপমানে অনুষ্ঠানে যাইনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পদ থেকে ইস্তফা দেব।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এইভাবে আদিবাসী দিবস পালনের অনুষ্ঠান হলেও, আদিবাসী সমাজ আমন্ত্রণ না জানানোয় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন মঙ্গল টুডু। কিন্তু কেন সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি বলেন, “যদি কেউ মনে করে কার্ডে নাম নেই বলে আসবো না, এটা খুব কষ্ট পেলাম। আজকে আদিবাসীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, তার জন্য আমি কি বড় জিনিস, এটা মনে রাখা উচিত নয়। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজ্য সরকার দু’দিনব্যাপী আদিবাসী দিবস পালন করেছে। দিনটা বড় কথা নয়, উদ্দেশ্য বড় কথা। শহীদদের স্মরণ করলাম কিনা আমার মনে হয়, এটাই দেখা উচিত।” তবে অনুষ্ঠানে নাম না থাকা নিয়ে যেভাবে সরব হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -