এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চূড়ান্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ঠাকুরবাড়িতে! দ্বিধাবিভক্ত মতুয়া ভক্তরা! নতুন করে সরগরম রাজনীতি

চূড়ান্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ঠাকুরবাড়িতে! দ্বিধাবিভক্ত মতুয়া ভক্তরা! নতুন করে সরগরম রাজনীতি


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলে দ্বিধাবিভক্ত হল ঠাকুরবাড়ি। গতকাল রবিবার রাস পূর্ণিমার দিনে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ’ নাম দিয়ে দুটি কমিটি ঘোষণা করা হলো। যার ফলে বিপাকে পড়ল মতুয়ারা। মতুয়াদের অভিযোগ, পরিবারের অন্তর্কলহের কারণে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মতুয়া সম্প্রদায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। পূর্বে একটি কমিটির নির্দেশে এই সম্প্রদায় পরিচালিত হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে মতুয়া সম্প্রদায়ে রাজনীতি এসে পড়েছে। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি । আর, এবারে দ্বিধাবিভক্ত হল এই শিবির।

গতকাল রবিবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ নামে দুটি কমিটি গঠন করা হলো। একটির সংঘাধিপতি হলেন মমতা বালা ঠাকুর এবং অপরটির হলেন মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর। মমতা বালা ঠাকুর হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। যাকে পরাজিত করে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে শান্তনু ঠাকুর। এরপর থেকেই এই দুই শিবিরের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন মতুয়ারা।

গতকাল রবিবার এই দুটি সংগঠন আলাদাভাবে তাদের রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে আলাদা দুটি কমিটি ঘোষণা করল। যদিও দুটি কমিটির নাম একই আছে। আলাদা কমিটি গঠন নিয়ে একদল অপরদলকে পারস্পরিকভাবে দোষারোপ করল। মমতা বালা ঠাকুর জানালেন যে, তাঁর শ্বশুর স্বামী কপিলকৃষ্ণকে সংঘাধিপতি করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর তিনি সংঘাধিপতি হয়েছেন। কিন্তু গায়ের জোরে যদি কেউ সেই কমিটি না মেনে নিজেদের করার চেষ্টা করেন। তবে তাঁর কিছুই করার নেই। অন্যদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর জানালেন যে, গায়ের জোরে ওপর দল কমিটির একই নাম রাখলেও, তাঁরাই প্রকৃত কমিটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে গতকাল বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মঞ্চ গড়ে একটি কমিটি গঠন করা হলো। অন্যদিকে বীণাপাণি দেবীর ঘর থেকে আলাদা কমিটি ঘোষণা করেছেন মমতা বালা ঠাকুর। দুই শিবিরের রাজনৈতিক লড়াইতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন মতুয়ারা, এমন অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে মতুয়ার পিছিয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করলেন মমতা বালা ঠাকুরের কমিটির কার্যকরী সম্পাদক ও হাওড়া জেলার সভাপতি জহর বিশ্বাস।

এ প্রসঙ্গে মমতা বালা ঠাকুরের কমিটির কার্যকরী সম্পাদক জহর বিশ্বাস জানালেন, ” পরম ব্রহ্ম হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রকৃত চিন্তাভাবনা নষ্ট হচ্ছে। মতুয়া উন্নয়ন পরিষদে ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠাকুরবাড়ির তিন বিঘা জমির মধ্যে শক্তি মন্দির ও পুকুর ছাড়া সব সম্পত্তি পরিবারের তিন জনের নামে। এই সম্পত্তি দানের মাধ্যমে ট্রাস্টিতে না গেলে উন্নয়ন হবে না। বিধবাদের আশ্রম, যাত্রী নিবাস শুরু হয়েও কাজ এগোয়নি। পিলার ভেঙে পড়ছে। সম্প্রদায়ের উন্নয়ন নেই, শুধুই খেয়োখেয়ি চলছে।”

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!