এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জল্পনা বাড়িয়ে সিআইডিকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলে দিল দাড়িভিটের মৃতদের পরিবার

জল্পনা বাড়িয়ে সিআইডিকে বড়সড় অস্বস্তিতে ফেলে দিল দাড়িভিটের মৃতদের পরিবার


গত 20 সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিটে দুই ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মন নামে এই দুই ছাত্রের-এই দাবি তুলে প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেছে মৃতদের পরিবার থেকে বিরোধী দলগুলো।

আর সকলের চাপের কাছে পড়ে এই পুরো ঘটনার তদন্ত করতে রাজ্যের পক্ষ থেকে সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেই দারিভিট গ্রামের মৃত ছাত্রের পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে প্রায় প্রত্যেকেই রাজ্যের তদন্তাধীন সংস্থার প্রতি ভরসা নেই বলে সিবিআই তদন্তের দাবি করে।

কিন্তু তাও সিআইডি কে দিয়েই এই গোটা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়াকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় রাজ্য। কিন্তু ছেলের মৃত্যুতে যে সিআইডির ওপর তাদের বিন্দুমাত্র ভরসা নেই তা ফের প্রমাণ করলেন সেই দারিভিট কাণ্ডে নিহত ও আহত ছাত্রদের অভিভাবকেরা। সূত্রের খবর, গতকাল এই দাড়িভিট কান্ডের তদন্তের জন্য নিহত ছাত্র রাজেশ সরকারের বাবা নীল কমল সরকার, তাপস বর্মনের বাবা বাদল বর্মন এবং আহত বিপ্লব সরকারের বাবা গোবিন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজনকে চিঠি দিয়ে ডেকে পাঠায় সিআইডি।

আর সেই মতো তারা উপস্থিত হলেও সিআইডি তদন্তের প্রতি তাদের আস্থা নেই বলে ফের রাজ্য তদন্তাধীন সংস্থার এক কর্তাকে জানিয়ে দিলেন সেই মৃত এবং আহত ছাত্রের অভিভাবকেরা। জানা গেছে, এদিন সিআইডি প্রথমে সেই নীল কমল সরকার, বাদল বর্মন এবং গোবিন্দ সরকার সহ বেশ কয়েকজন অভিভাবককে থানায় ডেকে পাঠায়।

আর এর পর থানায় গিয়ে সেই সিআইডি অফিসারদের কাউকে পাওয়া না গেলে ফোন করার পর তারা পুর আবাসে সেই অভিভাবকদের ডাকেন। আর সেখানেই সিআইডি আধিকারিকদের অভিভাবকদের তরফ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা সিআইডি নয়,এই দাড়িভিট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবে।

এদিন এ প্রসঙ্গে অভিভাবক নীল কমল সরকার বলেন, “আমরা সিআইডি কর্তাদের পরিষ্কার বলেছি যেহেতু আমরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, তাই সিআইডি তদন্তে আমরা কোন সহযোগিতা করব না।” এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এদিন সিআইডির এস আই যদুলাল বর্মন সহ একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোন করলেও তারা কেউই ফোন ধরেননি।

অন্যদিকে অভিভাবকরা যখন এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হচ্ছে ঠিক তখনই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দাড়িভিট স্কুল খুলতে উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, আগামী 8 নভেম্বর ইসলামপুরের মহকুমাশাসক তথা দাড়িভিট স্কুলের প্রশাসক এই স্কুল খোলার ব্যাপারে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। আর সেই বৈঠকের দিকেই এখন তাকিয়ে সবপক্ষ।

এদিন এই প্রসঙ্গে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “মহকুমাশাসক 8 নভেম্বর সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। আশা করি তা ফলপ্রসূ হবে।” অন্যদিকে এই সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে তিনি যে চিঠি পেয়েছেন তা জানিয়েছেন ইসলামপুর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি মুজাফফর হুসেনও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে 8 তারিখের এই সর্বদলীয় বৈঠকে তাদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে এদিন জানান উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান। সব মিলিয়ে এখন এই সর্বদলীয় বৈঠক থেকে স্কুল খোলার ব্যাপারে সমাধানের জট আদৌ খুলে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!