এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধায়কের রহস্যমৃত্যু! CID তদন্তে নামতেই ঋণ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে! আত্মহত্যারই ইঙ্গিত?

বিধায়কের রহস্যমৃত্যু! CID তদন্তে নামতেই ঋণ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে! আত্মহত্যারই ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু নানা প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করে। আত্মহত্যা নাকি বিজেপি বিধায়কের গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় গোটা রাজ্যজুড়ে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে হাতে আসার পর রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে সিআইডি তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলে এবার বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে আত্মহত্যার ঘটনাই সামনে চলে এল। জানা যায়, বালিয়া মোড় থেকে বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় তার পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেখানে নিলয় সিংহ এবং মাবুদ আলি নামে দুই ব্যক্তিকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়। ইতিমধ্যেই নিলয় সিংহকে গ্রেপ্তার করা হলেও, মাবুদ আলগ এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি।

আর এই পরিস্থিতিতে সিআইডির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। আর তারপরেই বিধায়কের মৃত্যু আত্মহত্যাতেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কি এমন কারণ ছিল, যার কারণে আত্মহত্যা করলেন এই বিজেপি বিধায়ক? তদন্তকারীদের মতে, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে সমবায় সমিতির ম্যানেজার ছিলেন। নিজের নামে মোট 6 টি ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে একটি পরিশোধ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বাকি পাঁচটি ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি দেবেন্দ্রনাথ বাবু। পাশাপাশি তিনি অন্যান্যদের নামেও একাধিক ঋণ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে একটা মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করা বাকি ছিল তার। যা খাতায়-কলমে প্রায় 5 লক্ষ 30 হাজার টাকার মত। ফলে এত টাকার ঋন না পরিশোধ করার জন্যই আজ এই দশা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান নারায়ন বর্মন বলেন, “বিধায়কের নিজের নামে নেওয়া ঋনের মধ্যে পাঁচটি বকেয়া রয়েছে। জেলা সমবায় দপ্তরের যে নির্দেশিকা দেবেন, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” একাংশ বলছেন, তদন্তকারীদের এই তদন্তে এখন উঠে আসতে শুরু করেছে যে, ঋণ পরিশোধ না করার কারণেই বিধায়কের আত্মহত্যা।

কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে যেভাবে সিবিআই তদন্তের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তাতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!