এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সিআইডি জেরা নিয়ে মুখ খুলে চমকে দিলেন অর্জুন সিং,জেনে নিন

সিআইডি জেরা নিয়ে মুখ খুলে চমকে দিলেন অর্জুন সিং,জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদ কান্ডে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করে যখন সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক তখনই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকে চাপে ফেলে দেয় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। বৃহস্পতিবার আর্থিক তছরুপের মামলায় জেরা করতে চেয়ে অর্জুন সিংহকে সিআইডির পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিবিআই সক্রিয় হতেই যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ করা হয়েছে, ঠিক তেমনই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা করতে শুরু করেছে তৃণমূল বলে সিআইডি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

স্বাভাবিক ভাবেই তরজা চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সিআইডি জেরার মুখে পড়লেও, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার কথা বলে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। যা নতুন মাত্রা পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অর্জুন সিংহের মজদুর ভবনের বাড়িতে সিআইডির পক্ষ থেকে একটি নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগামি 25 তারিখে তাকে সিআইডি দপ্তরে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। আর এই গোটা বিষয়ে মুখ খুলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। এদিন তিনি বলেন, “সিআইডির জেরায় আমি সহযোগিতা করব। তবে তা ভার্চুয়ালি হতে হবে।”

এদিকে বর্তমানে সিআইডির পক্ষ থেকে যে মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে, তা যাতে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তার জন্যও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। এদিন তিনি বলেন, “এই রাজ্যে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে না। শুধু এই মামলা নয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সব মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনো আদালতে হওয়া উচিত।” অর্থাৎ বিজেপি সাংসদের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, এই রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কাজ করতে শুরু করেছে।

তাই বিজেপির অন্যান্য নেতা সহ তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা রয়েছে, তা যাতে অন্য কোনো রাজ্যে করা হয়, তার জন্য দাবি জানাতে শুরু করলেন হেভিওয়েট এই বিজেপি সাংসদ। আর তার এই দাবি বর্তমান পরিস্থিতিতে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ তিনি এই দাবির মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন ভার্চুয়ালি জেরা করার কথা জানিয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে চাপে ফেলে দিলেন, ঠিক তেমনই বিচার না পাওয়ার কথা বলে অন্য রাজ্যে মামলা নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চাপ দ্বিগুণ ভাবে বাড়িয়ে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিসময় দাবি করা হয়, রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিহিংসাপরায়ণ। এক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতা, কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন আবার নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। তবে নারদ কান্ডে সিবিআই সক্রিয় হয়ে রাজ্যের হেভিওয়েট শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার পরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে শুরু করেছে সিআইডি।

অর্জুন সিংহকে নোটিশ দেওয়ার ঘটনায় তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই অবস্থায় তদন্তে সহযোগিতা করার কথা বললেও, গোটা বিষয় নিয়ে কার্যত সিআইডিকে বড়সড় চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তবে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদের এই সমস্ত দাবি এবং ভার্চুয়ালি জেরা করার শর্তে সিবিআই আদৌ রাজি হয় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!