এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > সিভিক পুলিশকে চুলের মুঠি ধরে মেরে গ্রেপ্তার সাধারণ সম্পাদক সহ দুই বিজেপি নেতা

সিভিক পুলিশকে চুলের মুঠি ধরে মেরে গ্রেপ্তার সাধারণ সম্পাদক সহ দুই বিজেপি নেতা


গোটা রাজ্যে পুলিশকে তৃনমূল ব্যাবহার করছে এ অভিযোগ তুলে বেশকিছুদিন ধরেই ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন জেলার পুলিশকর্তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। তবে এবার আর হুমকি নয়, ক্ষমতায় আসার আগেই সেই পুলিশকে চুলির মুঠি ধরার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন? হঠাৎ কি এমন হল যে পুলিশের ওপর চড়াও হলেন বিজেপির নেতারা?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

সূত্রের খবর,  গত শনিবার পুরুলিয়ার ঝুঁঝকা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি নতা দেবাশিস মিশ্রের বাড়ির দেওয়ালে মাওবাদীদের নাম করে একটি পোষ্টার পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, সেই পোষ্টারে দেবাশিস মিশ্রকে নৃশংসভাবে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বিজেপি। এরপর সব ঠিক থাকলেও হঠাৎই রাত 10 টা নাগাদ ডিউটিতে যাওয়ার সময় সিভিক ভলান্টিয়ার চিত্তরঞ্জন দাসকে বাইক থেকে নামিয়ে এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়েষগিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আর এরপরই এলাকায় টহলরত অন্য সিভিকরা এসে কোনোক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে সিরকাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মুখে, মাথায় ও বুকে আঘাত লেগেছে এই সিভিক পুলিশকর্মীর। এদিন চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “বিজেপির নেতারা আমাকে মারতে মারতে স্বীকার করাতে চাইছিল যে ওই মাওবাদী পোষ্টার সিভিক ভলান্টিয়াররাই লাগিয়েছে।” এদিকে সতীর্থ সিভিককর্মীকে এইভাবে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হন বাকি সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এরপরই আড়শা থানার ওসি তারাপদ মন্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী বিজেপির দেবাশিস মিশ্র ও সুভাষ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে।

তবে তাঁদেরকে শুধুমাত্রই ফাঁসানো হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে এদিন ধৃত বিজেপি নেতা দেবাশিস মিশ্র বলেন, “ওই সিভিক পুলিশকে একা দেখে সন্দেহ হয়েছিল। তাই দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ওকে বসিয়ে রেখেপুলিশকে খবর দিই। আমরাই যদি মারধর করি তাহলে পুলিশকে খবর দিতে যাব কেন?” একই অভিযোগ করে তৃনমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দলীয় কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক জ্যোতির্ময় মাহাত। এদিকে এ প্রসঙ্গে আড়ষার তৃনমূল নেতা অনিন্দ্য মাহাত বলেন, “ওই মাওবাদী পোষ্টার বিজেপির গোষ্টীদ্বন্দ্বের ফসল। সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের ঘটনায় দোষী বিজেপি কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।”  সব মিলিয়ে রাজ্যে তৃনমূল পুলিশকে চাপে রাখছে এই অভিযোগ তুললেও এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই সিভিক পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠায় প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!