এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই লাগাম টানা হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে – জানুন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই লাগাম টানা হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে – জানুন বিস্তারিত


সিভিক ভলেন্টিয়াররা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গাড়িচালকদের কাছ থেকে বলপূর্বক টাকা আদায় করেন এবং দুর্ব্যবহার করেন বলে সাম্প্রতিককালে নানা জনের কাছ থেকে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দীঘায় এক প্রশাসনিক বৈঠক এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে তিনি বলেন যে, অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী দীঘার প্রশাসনিক বৈঠকে এই কথা বললেও অনেকদিন আগে থেকেই তো সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং পুলিশ- প্রশাসনের এই দৌরাত্ম্য চলছে। আর পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, ঠিক তখনই এবার সিভিক ভলেন্টিয়াররা ঠিক কী কী কাজ করবে, তা বেঁধে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, লালবাজারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শহরের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়াররা শুধু ট্রাফিক পুলিশের কর্মী এবং অফিসারদের সাহায্য করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনো আইনভঙ্গকারী গাড়িকে আটকাতে পারেন না বা তাদের নথি পরীক্ষা করতেও পারেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার। একাংশের অভিযোগ, বর্তমানে শহরের বিভিন্ন মোড়ে কনস্টেবল বা সার্জেন্টদের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন গ্রীন পুলিশদের দেখা যায়। যারা উপরতলার অফিসারদের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন অনিয়ম কাজকে প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিছুদিন আগেই মধ্যমগ্রামে এক চালককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে।

আর তাই এবারে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ ঠিক কি, তা জানিয়ে দিল লালবাজার। এদিন এই প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কোনো অফিসার বা পুলিশকর্মী রাস্তায় বেআইনি কিছু করেছেন এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনোভাবেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে গাড়ি বা নথি পরীক্ষা করানো যাবে না। সেই কাজ কনস্টেবল এবং সার্জেন্টদের করতে হবে।” তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়বাড়ন্ত কমাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে!

অনেকে বলছেন, এবার কি তাহলে রাতের শহরে নাকা তল্লাশি বন্ধ হয়ে যাবে! পুলিশ কর্তাদের দাবি, সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কেননা বেপরোয়া গতিতে বা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালানো আটকাতে যাতে কাউকে ছাড়া না হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরই তাদের কাজ বেঁধে দিল লালবাজার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!