এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > হেভিওয়েট বিধায়ক তথা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে সরেই যেতে হল এডিএমকে? চাঞ্চল্য বিডিএ-তে

হেভিওয়েট বিধায়ক তথা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে সরেই যেতে হল এডিএমকে? চাঞ্চল্য বিডিএ-তে

রাজ্যের হেভিওয়েট বিধায়ক তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান রাবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের জেরে, বিডিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদ থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়কে সরে যেতে হলো বলে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে পূর্ব-বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে। যদিও ব্যাপারটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন রাবিরঞ্জনবাবু নিজে – এমনকি এই নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি প্রবীরবাবুও।

তবে সূত্রের খবর, গত ৬ ই ডিসেম্বর বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব এক নির্দেশিকা জারি করে ডিএ-র সিইও পদে প্রবীর কুমার চট্টোপাধ্যায়ের বদলে দায়িত্ব দেন শান্তনু বসুকে। উল্লেখ্য, শান্তনুবাবু অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রজেক্ট অফিসার ও ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার পদে কর্মরত। এই বদলিতে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে। হঠাৎ করে কেন প্রবীরবাবুকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল – এখন সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র, এমনকি এই নিয়ে সরব বিরোধীরাও।

জানা গেছে, বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের কামনাড়া ও মির্জাপুর মৌজায় মিনি টাউনশিপ প্রকল্পে পোদ্দার গ্রূপ – মাস্টারপ্ল্যানের অনুমোদন, জমির চরিত্র বদল এবং এনওসি ছাড়াই তিনটি বিল্ডিং তৈরি করে। কিন্তু বিল্ডিং তৈরি করলেও, তারা যে আবেদনকারীদের হাতে এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে অপারগ – এই বিষয়টি গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রকাশ্যে আসে। এরপরই, টাউনশিপ প্রকল্পের যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য সেখানকার অফিসারদের ওপর প্রবল চাপ আসতে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এবিষয়ে কোন পদক্ষেপই নিতে চাননি অফিসারেরা। ফলে, হঠাৎ করে বিডিএ-র এক্সিকিউটিভ অফিসার পদ থেকে প্রবীরবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে এই প্রকল্পকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। কিন্তু, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। আজ বিডিএ-র বোর্ড মিটিংয়ে, পোদ্দার গ্রূপের এই মিনি টাউনশিপ প্রজেক্টকে সীলমোহর দেওয়ার জন্য প্রবল তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, বেশকিছু ফাইলে সই না করাতেই তাঁকে এদিন সরে যেতে হল।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ৮ ই মার্চ বিডিএর সঙ্গে পোদ্দার গ্রূপের একটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সূত্রের খবর, মৌ চুক্তি অনুযায়ী, প্রজেক্ট এলাকার মাটির কাজ সম্পূর্ণ করার পর সামনের দিকের দুই একর জমি বিডিএকে ফেরত দেওয়ার কথা। চুক্তি অনুসারে, ২০১৭ সালের ২ রা জুন বিডিএর বোর্ড মিটিংয়ে পোদ্দার গ্রূপের তরফে এই জমি ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করা হলে, সেই জমিকে কিভাবে কাজে লাগানো যাবে, তা জেলার পরিকল্পনা বিভাগকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

কিন্তু, বিষয়টি তাঁর উপরই ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানান বিডিএ-র চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলে জানা গেছে। এদিকে, অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পোদ্দার গ্রূপ এই প্রকল্প রূপায়নের ব্যাপারে অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি তারা বিডিএকে বিশেষ সুবিধাও দিয়েছে। এ সমস্ত কারণেই প্রবীর চট্টোপাধ্যায়কে বিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ পদ থেকে সরে যেতে হল বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

কেন প্রবীরবাবু সরলেন? এই প্রশ্নের জবাবে বিধায়ক তথা বিডিএ-র চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নগরোন্নয়ন দপ্তরই এই বদলি করে। তাই সেখানে আমার হস্তক্ষেপ করার কোনো জায়গা নেই”। বিডিএ-র প্রাক্তন এবং বর্তমান সিইও-রা অবশ্য এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে, বর্ধমান শহরে ঘুরলেই বিরোধী থেকে অনেক অধিকারিকই এর পিছনে অন্যরকম ‘রহস্য’ দেখছেন – কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!