ক্রমশ তীব্র হচ্ছে কৃষ্ণেন্দু-সাবিত্রী-নীহারের কলহ, চাপ বাড়ছে পঞ্চায়েতের আগে রাজ্য March 17, 2018 গত লোকসভা নির্বাচন (২০১৪) ও বিধানসভা নির্বাচন (২০১৬) মালদহ জেলায় একটি আসনে ও জয় আসেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মালদহের দু’টি আসনেই তৃণমূলের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। এমনকি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জেলার ১২টি আসনের সব ক’টিতে চুড়ান্ত পরাজিত হয় তৃণমূল প্রার্থীরা। পরবর্তীতে গাজোলের সিপিএম বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস ও ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ তৃণমূলে যোগদান করেন। সূত্রের খবর অনুসারে কালিয়াচক, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর সহ জেলার নানা প্রান্তেই দলীয় অর্ন্তদ্বন্দ ক্রমশ প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। এর আগে সাবিত্রী দেবী ও কৃষ্ণেন্দু বাবুর কলহ দলের অস্বস্তির কারণ হয়েছিলো আর এখন কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে বিধায়ক তথা পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষের মতবিরোধ ক্রমশ দলীয় সংগঠনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরী করছে। উল্লেখ্য এখন জেলা পরিষদ, ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৩টি ও প্রচুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস তাদের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু এতেও দলীয় অর্ন্তকলহের কোনো অবসান হয়নি। এখন কৃষ্ণেন্দুবাবুর সঙ্গে বিধায়ক তথা পুরপ্রধান নীহার রঞ্জন ঘোষের ঝগড়া জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কে দলের নিম্নস্তরের কর্মীদের মতে , “মালদহে দলের নেতৃত্বরা বদলালেন না। দ্বন্দ্ব যদি না মেটে তবে এ বারের পঞ্চায়েতেও ফের একই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।” দলীয় দ্বন্দ কার্যতই অস্বীকার করে দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বললেন, “এক সংসারে পাঁচ ভাই থাকলে ঠোকাঠুকি একটি-আধটু হতেই পারে। কিন্তু সেটা নিজেরাই বসে মেটানো যায়। পঞ্চায়েতে ভাল ফলই হবে।’’ আপনার মতামত জানান -