এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভাঙছে বাম ও অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক – হাওড়ার লোকসভার লড়াই ক্রমশ জমজমাট তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে

ভাঙছে বাম ও অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক – হাওড়ার লোকসভার লড়াই ক্রমশ জমজমাট তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে

হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা এবার কার দিকে থাকে তা নিয়েই জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। পানীয় জল, নিকাশি সমস্যার পরে এবার অবাঙালি অধ্যুষিত দক্ষিণ হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের মন কোন রাজনৈতিক দল জয় করতে পারে তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের। প্রসঙ্গত, গত 2009 সাল থেকেই এখানে সিপিএমের ভোটব্যাংকে ধ্বস ধরিয়ে সেখানে থাবা বসিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর গত 2016 বিধানসভা নির্বাচনে এই দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তরফে জয়ী হয়েছিলেন শিক্ষক ব্রজমোহন মজুমদার।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, গোটা দেশে যেমন উত্তরপ্রদেশে যে দল রাজনৈতিক ভাবে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে, সেই দলের দখলেই দিল্লি থাকে। ঠিক তেমনই এই হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র দখলে যে দক্ষিণ হাওড়ায় শেষ হাসি হাসে, তারাই এই লোকসভা কেন্দ্র দখল করে। তাই এই দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতি বাড়তি নজর দিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই। হিসেব বলছে, গত 2016 সালে এখানকার 2 লক্ষ 66 হাজার 645 জন ভোটারের মধ্যে মোট ভোট পড়েছিল 73.1 শতাংশ। যেখানে তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজমোহন বাবু 93 হাজার 689 টি ভোট এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বসু 77 হাজার 495 টি ভোট এবং তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপির শাহানা গুহ রায় 16 হাজার 277 ভোট পেয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একসময়ে এখানকার মূল আধিপত্য বিস্তার করত সিপিএম – কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বামেদের সেই ভোটব্যাংকেও ধ্বস নেমেছে। হাওড়া জেলার অপর লোকসভা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত উলুবেড়িয়াতেও গত 2018 সালের লোকসভার উপ-নির্বাচনে দেখা গেছে যে সিপিএমের প্রায় 1 লক্ষ 40 হাজার ভোট বিজেপির দিকে চলে গেছে। আর সেই ট্রেন্ড থেকে বাড়তি উৎসাহ পেয়ে, এবার হাওড়া লোকসভা এলাকার অবাঙালি ভোটারদের মন জয় করতে ইতিমধ্যেই জোর তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপি। তবে তৃণমূল যদি এই এলাকায় অবাঙালি ভোটারদের ভোটব্যাংক ধরে রাখতে পারে তাহলে এখানে শেষ হাসি হাসবে ঘাসফুল শিবিরই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কি হতে পারে শেষ ফলাফল?

এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, “হাওড়া পুরসভা এলাকায় দুটি আলো লাগালেই উন্নয়ন হয় না। পানীয় জল, নিকাশি নিয়ে বহু সমস্যা আছে। তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি লেগেই আছে। আমরা মানুষের কাছে সেসব তুলে ধরছি।” অন্যদিকে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। উন্নয়নের এখানে কিছুই হয়নি বলে জানান সিপিএম প্রার্থী সুমিত্র অধিকারী। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, “গত 5 বছরে গোটা দেশে ব্যাংক লুট হয়েছে। বিজেপি নেতাদের সম্পত্তির হু হু করে বেড়েছে। তাই ওদের মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখেই এবারে ভোট দেবেন।” সবমিলিয়ে, হাওড়া জেলার বাম ও অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক এবার কি সিদ্ধান্ত নেন তার উপরেই এই লোকসভার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!