এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক তৃনমূল কর্মীর!

ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক তৃনমূল কর্মীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের আগে বিরোধীদের মোকাবিলা করা তো দূরের কথা, উল্টে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সবথেকে বেশি মশগুল থাকতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের 19 নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গা এলাকায়। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ এখন কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগ রীতিমত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জোনাকি সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে দীঘা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কারণে ফ্লেক্স লাগিয়ে শুরু হয়েছিল প্রচার। তবে শেখ মুন্না নামে এক ব্যক্তির দলবল সেই সমস্ত ফ্লেক্স ছিড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই ব্যাপারেই রবিবার রাতে এই ক্লাবে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এই ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক তথা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত মহাম্মদ আকবর ওরফে কালো এবং তার অনুগামীরা উপস্থিত থাকলেও, শেখ মুন্নার কোনো দলবলকে সেখানে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

অভিযোগ, রাত নটার সময় আচমকাই ক্লাবে এসে রড-লাঠি বাস নিয়ে হামলা করে সেই শেখ মুন্না এবং তার অনুগামীরা। আর সেখানেই পেছন থেকে হামলা করে ব্যাপক মারধর করা হয় মহম্মদ আকবরকে। আর এরপরই সেই মহম্মদ আকবরকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় এখন রাজনৈতিক রং লাগতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শেখ মুন্নার সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে শেখ জসিমউদ্দিন নামে এক আক্রান্ত ব্যক্তি বলেন, “মুন্না এখন বিজেপি করে। ওরা জোনাকি সংঘ নামে ওই ক্লাবের দখল নিতে চাইছে। তাই হামলা করেছে। বোমাবাজিও করেছে।” একাংশ বলছেন, এর আগে মহম্মদ আকবর এই ক্লাবের সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই তাকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তীতে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। সেদিক থেকে মহম্মদ আকবর তৃণমূল করে জন্য এই শেখ মুন্না এবং তার গোষ্ঠীরা তার ওপর এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি একাংশের। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে একটি ক্লাবের দখলকে কেন্দ্র করে একজন কর্মীর মৃত্যু এবং গোটা ঘটনায় যেভাবে রাজনৈতিক রঙ লাগতে শুরু করেছে, তাতে এলাকা ক্রমশ অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!