“ক্লাবগুলোকে যে টাকা দিলি তাতে কি লাভ হল? সব তো বিজেপিকে ভোট দিল।” – অরুপকে তীব্র শ্লেষ মুখ্যমন্ত্রীর জাতীয় রাজ্য May 26, 2019 ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের ক্লাবগুলোকে দু লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মত রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন হাজার ক্লাবকে এই অনুদানও দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রথম থেকে এই ব্যাপারে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তৃণমূল তোষনের রাজনীতি করছে বলে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। কিন্তু তৃণমূলের তরফে বারেবারেই বিরোধীদের প্রতি তোপ দেগে বলা হয়েছিল, “আসলে রাজ্যের যুবসমাজের বিরুদ্ধে বিরোধীরা। আর তাই ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান যখন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই তারা তার বিরোধিতা করতে উদ্যত হয়েছেন।”তাদের দাবি ছিল ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়েছে ভোট পাবার জন্য। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি ছিল যাতে তারা টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না। কিন্তু লোকসভা ভোটের পরাজয়ের পর এ যেন সেই বিরোধীদের সুরই শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের খারাপ ফলাফলের পেছনে যুবসমাজের ভোট অনেকটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। যার সিংহভাগই বিজেপির দিকে গিয়েছে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর তাই শনিবার দলের খারাপ ফলাফল পর্যালোচনা করার জন্য কালীঘাটের বাসভবনে দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে সেই ক্লাবগুলোকে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ক্লাবগুলোকে যে টাকা দিলি, তাতে কি লাভ হল! সবই তো বিজেপিকে ভোট দিল। আমি তোকে টাকা দিতে বারণ করছি না। কিন্তু এবার টাকা দেওয়ার আগে ক্লাবগুলোর অডিট রিপোর্ট দেখে নে।” এদিকে ক্লাবকে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে ভোটের ফলাফল খারাপ হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন মন্তব্যকে ঘিরেই এবার তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বিরোধীদের তরফে অনেকেই সমালোচনা করে বলছেন, তাহলে তাদের দাবিই ঠিক আছিলো। তৃণমূল নেত্রী নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াতেই ক্লাবগুলোকে টাকা দিয়েছিল। আর এদিন তাঁর কথাতেই প্রমাণিত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ এবং ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন! আর তাইতো ভোটের ফলাফলের পর যুব সমাজের ভোট নিজেদের দিকে নেই দেখেই ক্লাবগুলোকে কেন টাকা দেওয়া হল তা নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের প্রতি কড়া মনোভাব পোষণ করলেন তৃণমূল নেত্রী! বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচনে জয়- পরাজয় থাকবেই। কিন্তু তার জন্য অতীতে দেওয়া উন্নয়নকে যদি কোনো শাসকবর্গ বন্ধ করে দেয়, তাহলে তা তাদের ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হবে। আপনার মতামত জানান -