এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রূপশ্রী প্রকল্পের লক্ষ- লক্ষ টাকার দুর্নীতি! কড়া ব্যবস্থা?

সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের রূপশ্রী প্রকল্পের লক্ষ- লক্ষ টাকার দুর্নীতি! কড়া ব্যবস্থা?


2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাধারণ মানুষের উন্নতিকল্পে নানা প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, সবুজসাথী এবং মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে যাতে কোনো খরচ না লাগে, তার জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ দরিদ্র মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এত উন্নয়ন প্রকল্প চালু করলেও, তাতে দুর্নীতির অভিযোগ কিন্তু কমছে না।

এবার গরিব পরিবারের সাবালক মেয়ের বিয়ের জন্য “রূপশ্রী” প্রকল্পে লক্ষ্য লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গলসি 1 ব্লকে। জানা গেছে, গত 2018 সালের পয়লা এপ্রিল থেকে গোটা রাজ্যে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার কম, তাদের পরিবারের মেয়েদের আবেদনের ভিত্তিতে বিয়ের টাকা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

তবে এক্ষেত্রে মেয়েরা আঠারো বছর হওয়া বাধ্যতামূলক হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর গরিব পরিবারে মেয়ের বিয়ে দিতে না পারা ব্যক্তিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পের ফলে অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সাধের প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। যা নিঃসন্দেহে প্রবলভাবে চাপে ফেলল রাজ্যের শাসকদলকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গোলসি 1 ব্লকের আটপাড়ার এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে কারা কারা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন, তা জানতে চেয়ে ছিলেন।

আর পরবর্তীতে সেই তালিকা হাতে পাওয়ার পরই রীতিমতো চোখ কপালে উঠে যায় তার। যেখানে অনেকে অভিযোগ করেন যে, শতাধিক বিবাহিত মহিলাকে এই প্রকল্পে 25 হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যাদের অনেকের বয়স, দশ কিংবা পনেরো। এমনকি 18 বছর ছেলে থাকা সত্ত্বেও অনেক মহিলা এই রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন। আর এইভাবে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের অপব্যাখ্যার নজির সামনে আসতেই প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি ওই মহিলা প্রাপকদের নাম, তাদের গ্রাম সহ একাধিক তথ্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়। আর পরবর্তীতে প্রশাসনিক তদন্তে যে ঘটনা সামনে আসে, তা শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠবেন। যেখানে দেখা গেছে যে, গলসি 1 এর বিডিও অফিসের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী, যিনি ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করছেন, তিনি এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আর সরকারি প্রকল্প অপব্যবহারের জন্য এক সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মী জড়িত থাকায় এখন নানা মহলে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

যদিও বা এই ব্যাপারে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী বলেন, “এই ঘটনায় বিডিও অফিসের ওই ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জড়িত রয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে গলসি 1 পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থ মণ্ডল বলেন, “শুধু একজন কর্মী নন, আমাদের অনুমান এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তাই গোটা চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই দুর্নীতির ঘটনায় সরকারের বদনাম হচ্ছে। আমরা চাই, প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে যেভাবে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসল, তাতে সরকারি প্রকল্পের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশাসন যে ঠিকমত নজর দিচ্ছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এবার কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ায় প্রশাসন আদৌ সজাগ হয় কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!