এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলায় করোনা দুর্নীতি: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ তদন্ত কমিটির, কি উঠে এল? জেনে নিন

বাংলায় করোনা দুর্নীতি: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশ তদন্ত কমিটির, কি উঠে এল? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারে অনিয়মের অভিযোগ এসেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে। এ প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিভিন্ন মহলের থেকে উত্থাপিত অভিযোগের পর মুখ্যমন্ত্রী করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের অর্থ সচিব হরেকৃষ্ণ ত্রিবেদী, ও প্রশাসনিক সংস্কার কর্মীবর্গ দপ্তরের প্রধান সচিব অর্ণব রায়। সম্প্রতি এই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে কোন অনিয়ম ঘটে নি।

প্রসঙ্গত রাজ্যের করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয়ের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে অভিযোগ জানিয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে টুইট করে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এ প্রসঙ্গে তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, ” আপনি যত উচ্চপদস্থই হোন না কেন, আপনার চেয়েও উপরে সদা বিদ্যমান। এটা স্বচ্ছতা বজায় রাখার সময়। মানুষকে সব জানান, কত টাকার কেনাকাটা হয়েছে, কারা তা সরবরাহ করেছে, কে কে এই সিদ্ধান্তের শরিক—তা মানুষের নজরে রয়েছে।”

করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনাকাটা নিয়ে তিনি যেমন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, তেমনি এই অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে গঠিত মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন নিয়েও রাজ্যপাল যথেষ্ট অভিযোগ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন তিনি, ” মহামারী রোধে কেনাকাটার দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি আরও ধোঁয়াটে হচ্ছে। এটা কেমন তদন্ত? সরঞ্জাম কেনার পর তার অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সরকারি আমলাদের এই কাজ লজ্জাজনক। যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত তাঁরাই তদন্ত করছেন। ”

তবে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালের এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তিনি এই তিন সদস্যের কমিটিকেই এ বিষয়ের তদন্তে নিয়োজিত রেখেছিলেন। সম্প্রতি এই কমিটি তাদের তদন্তের কাজ সমাপ্ত করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে তাদের রিপোর্ট পেস করেছে। তদন্ত কমিটির পেশ করা রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, কোভিড যুদ্ধের বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে কোনো অনিয়ম করা হয়নি , সেইসঙ্গে এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যা কিছু কাজ করেছে তা সম্পূর্ণভাবে ত্রুটিমুক্ত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত রাজ্য করণা সংক্রমণের মোকাবিলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তার তালিকাও এখানে প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৮৪ টি করোনা হাসপাতাল রাজ্যে গঠন করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকার পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার কিনেছে। এই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, করোনা মোকাবিলায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেন্দ্র রাজ্য কে পাঠালেও তা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই বাইরে থেকে জিনিসপত্র কিনতে হয়েছে রাজ্যকে।

এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের প্রথমদিকে অতিরিক্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কিছু ওলট-পালট অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে সম্পূর্ণভাবে নিয়ম মেনেই সমস্ত কাজকর্ম সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধ করতে রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন নিয়ম অমান্য করা হয়নি।

রিপোর্ট জানানো হয়েছে প্রথমদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীকালে রাজ্যে সঠিকভাবে তার মোকাবিলা করতে পেরেছে। মূলত, স্প্যানিশ ফ্লু এর মতো ভয়াবহ মহামারীর পর এরকম কোন মহামারীর সামনাসামনি পড়তে হয়নি পৃথিবীকে। এশিয়ান ফ্লু, এইডস, সোয়াইন ফ্লু, জিকা ভাইরাস ইত্যাদির তুলনায় অনেকটা ভয়ঙ্কর হল করোনা মহামারী। ১০০ বছর পর আবার দেখা গেল দেখা দিয়েছে এরকম একটি মহামারী। করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের কাছেও অজানা, জিনগত বদল ঘটে তার বারেবারে। এ কারণেই প্রথমদিকে কিছুটা বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে। তবে সে ক্ষেত্রেও কোন অনিয়ম করা হয়নি। সমস্ত পদক্ষেপ সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে করা হয়েছে। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে এখনো পর্যন্ত কিছু মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা করোনা মোকাবিলায় খরচ করেছে রাজ্য সরকারের। সামান্য পয়সাও এদিক-ওদিক হয়নি।

প্রসঙ্গত তদন্ত কমিটির এই রিপোর্টে রাজ্য সরকারের করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয় বিষয়ে রাজ্যপালের অভিযোগটি অনেক ক্ষেত্রেই ভিত্তিহীন হয়ে পড়েছে বলে, অনেকে মনে করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!