হাওড়া পৌরসভা নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন পুর কর্তারা। সূত্রের খবর, উৎসবের আবহ শেষ হলেই সেই হাওড়া পৌরসভায় ডিলিমিটেশন হওয়ার কথা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে পৌর দপ্তরে ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আর ওই দপ্তর থেকে সেই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তা অনুমোদন করবেন কিনা, এখন সেই নিয়েই বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

জানা গেছে, এই হাওড়া পৌরসভায় যদি লিমিটেশন করতে হয়, তাহলে সেখানে ওয়ার্ডের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। আর যদি সেই ওয়ার্ড বৃদ্ধি পায়, তাহলে রাজ্য সরকারকে তাদের দেওয়া বরাদ্দের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে আর্থিক ভান্ডারের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন, তাতে এই বিপুল পরিমাণ খরচ রাজ্য সরকার আদৌ করবেন কিনা তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অতীতে হাওড়া পৌরসভায় 50 টি ওয়ার্ড থাকলেও বালি পৌরসভা হাওড়া কর্পোরেশনের মধ্যে যুক্ত হওয়ার ফলে সেখানে 16 টি ওয়ার্ড বেড়ে যার সংখ্যা হয় 66 টি। অনেকেরই অভিযোগ, 66 টি ওয়ার্ড থাকলেও কোনো ওয়ার্ডেই ভারসাম্য নেই। যার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়নে ব্যাঘাত দেখা দিচ্ছে। তাই এখন উন্নয়নকে সবার কাছে ঠিকমতো পৌঁছে দিতে গেলে ডিলিমিটেশনের উপরই ভরসা রাখছেন পুর দপ্তরের একাংশ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইরিটেশন কতটা সার্থক রূপ নেবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেননা পৌরসভা থেকে পুর দপ্তরে সেই প্রস্তাব গেলেও এবং পুরদপ্তর সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দিলেও, এখন মুখ্যমন্ত্রী তাতে আদৌ অনুমোদন দেবেন কি!

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজ্যের আর্থিক ভান্ডারের কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী এই অনুমোদন নাও দিতে পারেন। তবে উন্নয়ন এবং ভোট রাজনীতির চিন্তা করে যদি মুখ্যমন্ত্রী এই অনুমোদন দেন, তাহলে তা হাওড়া পৌরসভার ক্ষেত্রে ভালোই হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।