এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধায়কের রহস্য মৃত্যু নিয়ে চাপে মমতা? খোদ রাষ্ট্রপতিকে ব্যাখ্যা সহ চিঠি বাড়াচ্ছে জল্পনা!

বিধায়কের রহস্য মৃত্যু নিয়ে চাপে মমতা? খোদ রাষ্ট্রপতিকে ব্যাখ্যা সহ চিঠি বাড়াচ্ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি গলায় ফাঁস দিয়ে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় প্রয়াত হন। আর এই ঘটনার পরেই রাজনৈতিক মহল সহ গোটা বাংলা জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বিজেপির এই বিধায়ক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে খুন করা হয়েছে! নানা মহলে যখন ‌এই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়ে সিবিআই তদন্তের উপর জোর দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

ইতিমধ্যেই বিধায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু এতে কোনো বিশ্বাস নেই গেরুয়া শিবিরের। তাদের পাল্টা দাবি, গোটা ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করাতে হবে। পাশাপাশি বিধায়ক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে থানা ঘেরাও কর্মসূচির মত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি যে তৃণমূলকে আরো অস্বস্তিতে ফেলবে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও, পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু চিঠিতে ঠিক কি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? জানা গেছে, চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ইতিমধ্যে বিধায়কের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে এসেছে। যা দেখে আত্মহত্যা সন্দেহ করা হচ্ছে। এমনকি বিধায়কের পকেট থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। এসবই আত্মহত্যার বিষয়টি ইঙ্গিত করছে। এই ঘটনা কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।”

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলে বিজেপির যে প্রচার, তাকে কাবু করার চেষ্টা করলেন। কেননা যদি এই বিষয়ে বিজেপি লাগাতার প্রচার করতে শুরু করে, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তাই যখন বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই পাল্টা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে বিজেপি অপপ্রচার করছে বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন বঙ্গ রাজনীতিকে শাসক-বিরোধী তরজা আরও চরম আকার নেবে বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এখন দেখার বিষয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতিকে এই ব্যাপারে চিঠি দেওয়ার পর মহামহিম রাষ্ট্রপতি কোনো উদ্যোগ নেন কিনা! পাশাপাশি গোটা ঘটনায় বিরোধীদের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেও অবশ্যই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!