গরিবের ভাতা বন্ধ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আসছে লিমুজিন! অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের? জাতীয় October 11, 2019 পুজোর মরসুম চলছে। কিন্তু সেই মরশুমে গরিব মানুষদের জন্য বন্ধ বরাদ্দকৃত ভাতা। জানা গেছে, পুজোর মরশুমে সহায়-সম্বলহীন গরীব মানুষেরা সরকারের কাছ থেকে নিজেদের জন্য বরাদ্দ ভাতা পেতে হা পিত্যেশ হয়ে বসে থাকেন। কিন্তু সেই পুজোর সময় বিজেপি শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচিত ত্রিপুরায় গরিব মানুষদের ভাতা না দিয়ে এক কোটি 35 লক্ষ টাকা খরচ করে বিলাসবহুল লিমুজিন কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আরও অভিযোগ, বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের মন্ত্রীদের জন্য মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় 38 লক্ষ টাকা বলে দাবি। পাশাপাশি এই রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের জন্য ইতিমধ্যে আটটি গাড়ি চলে এসেছে এবং বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তার পুজো হয়ে শুভকর্মও সারা হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভাতা না দিয়ে যেভাবে রাজ্য সরকার, তার মন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনদের জন্য নামি দামি গাড়ি কিনতে শুরু করেছে এবং তাতে বিরোধীরা যে অভিযোগ করতে শুরু করেছে, তার জেরে উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগ, ভেরিফিকেশনের নামে সামাজিক ভাতা প্রাপকদের চরম হয়রানি করা হচ্ছে। গত সোমবার ত্রিপুরার মোহনপুর, সাতপাঁচ সহ বিভিন্ন এলাকায় এই ব্যাপারে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়তে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষদের একাংশ। আর ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই মোক্ষম অস্ত্রকে ছেড়ে দিতে নারাজ বিরোধী দল কংগ্রেস এবং সিপিএম। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা পবিত্র কর বলেন, “এই সরকার অত্যন্ত ভোগবিলাসী। উৎসব বা অনুষ্ঠানের নামে ভ্রমণের নামে খরচে কার্পণ্য নেই। তবে গরিব মানুষের বেলাতেই কোনো টাকা নেই এই সরকারের। সরকারি কর্মচারীরা ডিএ থেকে বঞ্চিত।” একইভাবে এই ব্যাপারে ত্রিপুরার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “রাজ্যে উন্নয়ন বলতে শুধু বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের বিলাসিতা। গরিব মানুষকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।” সব মিলিয়ে ভাতা না দেওয়ার বদলে মন্ত্রীদের লিমুজিন দেওয়ার অভিযোগে সরব বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -