এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হেভিওয়েট বিধায়ককে কেন ঢুকতে দেওয়া হলো না জল্পনা চরমে ,তবে কি হচ্ছে ডানা

মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হেভিওয়েট বিধায়ককে কেন ঢুকতে দেওয়া হলো না জল্পনা চরমে ,তবে কি হচ্ছে ডানা

বৃহস্পতিবার মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর জন্ম শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গাইঘাটার ঠাকুরনগরে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারে এই সভায় আমন্ত্রণ থাকলেও আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম না থাকায় কার্যত ভেতরে ঢুকতেই পারলেন না বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু এমন জটিলতা তৈরি হলো কেন?

সূত্রের খবর, এ দিন গাইঘাটায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখনই সভাস্থলে উপস্থিত হন সব্যসাচী দত্ত। জানা যায়, উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আমন্ত্রণেই তিনি এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। কিন্তু আমন্ত্রিতদের তালিকায় তার নাম না থাকায় ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

যার জেরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রবল বচসা বাধে সব্যসাচী দত্তের। পরে সেখান থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, আমন্ত্রণ করেও কেন এই ভাবে অপমানিত হতে হলো সব্যসাচী দত্তকে? যে গাইঘাটা ঠাকুরনগরের এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাকে আমন্ত্রণ জানালেন এবং তাঁরই আমন্ত্রণে তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও যেভাবে ভেতরে ঢুকতে পারলেন না তাতে সেই সব্যসাচী দত্তের ভেতরেও একটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে একাংশের মতে, আমন্ত্রিতদের তালিকায় অনেকের নাম থাকলেও সেখানে সব্যসাচীর দত্তের নাম কেন বাদ রাখা হলো?

তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকক সব্যসাচী দত্তের নাম আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ দিলেন? কিন্তু নাম আমন্ত্রিতদের তালিকায় না থাকলেও অনুষ্ঠানে ঢোকার মূল গেট থেকে যেভাবে কার্যত অপমানিত হয়ে ফিরতে হলো বিধাননগরের মেয়রকে তাতে ভবিষ্যতে এই অপমানের বহিঃপ্রকাশ তিনি ঠিক কিভাবে করেন তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এর পেছনে অন্য একটি কারণ রয়েছে। প্রবল মুকুল ঘনিষ্ঠ বলেই তৃণমূলে পরিচিত এই সব্যসাচী দত্ত। মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাবার পরেই তার প্রতি বাড়তি নজর রাখছিলো দল। এমনকি ত্রিপুরার দায়িত্ব সেই সব্যসাচী দত্তকে দেওয়া হলেও সেখানকার সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে না পারায় তার ওপর তীব্র অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তারপর থেকেই একের পর এক ডানা ছাঁটা হচ্ছিল সেই সব্যসাচী দত্তের। এবারে আমন্ত্রণ পেয়েও যেভাবে গাইঘাটা ঠাকুরনগর থেকে কার্যত নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় ফিরে আসতে হলো তাকে, তাতে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের রাজনৈতিক জীবনে আবার বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন কিনা এখন তা নিয়েই প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছে সব মহলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!