মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে গত দুমাস ধরে চলছে অন্তর্ঘাত! সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য রাজ্য November 8, 2018 সারা দেশের মধ্যে এই রাজ্যকে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনন্য রূপ দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালাবদলের পর সেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যের প্রতি জেলায় যেমন তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ঠিক তেমনি বিনা পয়সায় যাতে রোগীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পান তার জন্যেও উদ্যোগ দিয়েছে রাজ্য। আর এই নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মসূচির মধ্যে রাজ্যের অন্যতম উদ্যোগ গরিব ক্যান্সার রোগীদের বিনে পয়সায় পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু সরকারের এই অত্যাধুনিক পরিষেবাতেও এবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গরীব ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য বসানো রেডিওথেরাপি মেশিন দুটি কেউ বা কারা বন্ধ করে দিচ্ছে। আর বুধবার এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এনআরএস মেডিকেল কলেজের একাধিক কর্মী এবং চিকিৎসকেরা। তদের অভিযোগ, ট্রু বিম এবং ভাইটাল বিম নামে এই দুটি মেশিন যাতে চালু করা না যায় সেই কারণে প্রথমটির আয়ন চেম্বারে ঢাকনা ভেঙে যাওয়া এবং দ্বিতীয়টির আয়ন চেম্বারে জরুরি তার নষ্ট করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই মেশিন দুটির কাজ শুরু হওয়ার আগে ডেটা কালেকশন ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা দেখা উচিত। আর সেই ডেটা কালেকশনের কাজটি করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্বার্থান্বেষী মহলের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে সকলকে। অন্যদিকে এই দুটি মেশিনের সমস্ত তথ্য উড়ে যাওয়ায় ইঞ্জিনিয়ারদের মেরামতির জন্য ডাকা হলেও সেই ইঞ্জিনিয়াররা যাতে না আসতে পারেন তার জন্য বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ এনআরএস হাসপাতালে একাংশ কর্মীর। কিন্তু ঠিক কারা করছে এই কাজ? একাংশের মতে, হাসপাতালে গরিব মানুষদের জন্য বিনে পয়সায় এই পরিষেবা চালু হলে বাইরের নামি দামি প্রাইভেট ক্লিনিকের মাথায় হাত পড়তে পারে। তাই এই অন্তর্ঘাতের পেছনে তাদেরই কিছু লোক রয়েছে। এইদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন উদ্যোগকে বারবার পিছিয়ে দেওয়ায় তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনও। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সূত্রের খবর, আজ এই ব্যাপারে একটি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাক্তার প্রদীপ মিত্র। এখন দেখার যে এই অন্তর্ঘাত কাটিয়ে গরিব ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় মুখ্যমন্ত্রীর অত্যাধুনিক পরিষেবা আদৌ কবে থেকে চালু হয়! আপনার মতামত জানান -