এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবার “বৈপ্লবিক কর্মসূচি” ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! বাড়ছে আশার আলো

বাংলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবার “বৈপ্লবিক কর্মসূচি” ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! বাড়ছে আশার আলো


একদিকে করোনাকে মোকাবিলা করা, আর অন্যদিকে দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করা। এই দুই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে প্রতিটি সরকারকে। দেশের সরকার যেমন এই ব্যাপারে চেষ্টা করছে, ঠিক তেমনি প্রতিটি রাজ্য সরকারও চেষ্টা করছে, কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়। তবে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করলেই যে পুরো পরিস্থিতি ঠিক হবে, তা বুঝতে পারছেন সকলেই।

তাই এমতঅবস্থায় এবার রাজ্যের নতুন একটি প্রকল্পের ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে “মাটির সৃষ্টি” নামে একটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু কি হবে এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে? কি সুবিধা পাবেন সাধারন মানুষরা? জানা গেছে, রাজ্যের ছটি জেলা, অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে এই প্রকল্প রূপায়ণ হবে।

যার মাধ্যমে প্রায় 50 হাজার একর জমি এই প্রকল্পের আওতায় আসবে এবং উপকৃত হবেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমাঞ্চলের এই সমস্ত জেলাগুলোতে অনেক পতিত জমি রয়েছে। সেখানকার মাটি কৃষিকাজের পক্ষে কোনভাবেই উপযুক্ত নয়। যার ফলে সেই সমস্ত জায়গায় কৃষকদের কৃষি কাজ করে রোজগার ঠিকমতো হয় না। তাই এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে হর্টিকালচারের পাশাপাশি মাছ চাষ সহ নানা কাজের মাধ্যমে কৃষকদের যুক্ত করে তাদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। মূলত স্থানীয় চাষীদের 10 থেকে 20 একর পতিত জমিকে একসঙ্গে করে তার সাথে সরকারি খাস জমিতে যুক্ত করে এলাকাভিত্তিক মাইক্রো প্ল্যান তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। যে ক্ষেত্রে স্বনির্ভর দলের মহিলাদেরকেও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলছে রাজ্য।

অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব এই “মাটির সৃষ্টি” প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যে রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে সকলের কাছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুরন্ত বৈপ্লবিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। 50 হাজার একর জমিতে নতুন প্রকল্প হবে। আড়াই লাখের বেশি মানুষ এতে উপকৃত হবেন। পরিবেশবান্ধব প্রজেক্টের নাম মাটির সৃষ্টি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি জমি চাষ করার জন্য উপযোগী নয়। সেখানে সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করা হবে। এই প্রকল্পের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে।”

তবে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনো ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন চলার কারণে কৃষকদের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়েছে। তাই যে সমস্ত জেলাগুলোতে রুক্ষ মাটি থাকার কারণে চাষ সম্ভব নয়, সেই সমস্ত জেলায় এই প্রকল্প চালু করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কতটা সাফল্য আসে এই প্রকল্প রূপায়ণে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!