এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জেলায় জেলায় কারা দাঙ্গা লাগাচ্ছে, এবার খুঁজে বার করবেন মমতার এই স্পেশাল অফিসাররা!

জেলায় জেলায় কারা দাঙ্গা লাগাচ্ছে, এবার খুঁজে বার করবেন মমতার এই স্পেশাল অফিসাররা!


করোনা মহামারীর মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। করোনা মহামারী বাংলায় প্রবেশ করার পর যাতে কোথাও কোনো গুজব রটানো না হয়, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও তা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। উল্টে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যার ফলে পুলিশের পক্ষ থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অনেককে।

তবে সম্প্রতিকালে হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া অঞ্চল গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গুলি-বোমা অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা। প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। একদিকে করোনা ভয়াবহতা আর অন্যদিকে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে গোটা রাজ্য জুড়ে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর রটিয়ে যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হচ্ছে, এবার তা বন্ধ করবার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এবার এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য নজর রাখতে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা শোনালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তেলিনিপাড়ায় যে গন্ডগোল হয়েছে, তার জন্য হুগলির 11 টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। ফলে যত সময় যাচ্ছে, তত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আর এই অবস্থায় যাতে আর অন্য কোনো জেলায় এই গুজবের দ্বারা পরিস্থিতি হাতের বাইরে না চলে যায়, তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন তিনি বলেন, “রমজান চলছে। আর তার মধ্যে কিছু লোক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় রয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনা দিয়ে কারা দাঙ্গা বাধাচ্ছে, তা জানতে আমি সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা নয়, শাস্তির ব্যবস্থাও করবেন ওই সমস্ত আধিকারিকরা।” অর্থাৎ জেলায় জেলায় কারা দাঙ্গা লাগাচ্ছে, এবার খুঁজে বার করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিযুক্ত এই নোডাল অফিসাররা!

অর্থাৎ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের আগে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে এই গুজব যাতে না ছড়ায়, তার জন্য কড়া বার্তা দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তারপরেই নোডাল অফিসার নিয়োগের কথা জানিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনার চেষ্টার কথা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এখন নোডাল অফিসার নিয়োগ করে জেলায় জেলায় নজর রাখার এই পদ্ধতি কতটা শান্তি আনতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!