এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে, জেনে নিন

মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা সংক্রমণ কালে প্রথম উত্তর বঙ্গে প্রশাসনিক সফর করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২১ সে সেপ্টেম্বর তিনি আসতে চলেছেন শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা থেকে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক হাল-হকিকত জানতে প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক করতে চলেছেন। সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কালিম্পঙ জেলার বিষয়ে খোঁজ নেবার পর আগামী ২৩ সে সেপ্টেম্বর তিনি কোচবিহারের ব্যাপারে খোঁজ নিতে যাচ্ছেন। এ কথা জানা মাত্রই কোচবিহারে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসন কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কি কি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তা ভাবে ঘুম উড়ছে তাঁদের। সাত মাস পর পুনরায় সফর করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কোচবিহার জেলার বহু পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউন এর সময় জেলায় ফিরে এসেছেন। জেলা প্রশাসন তাদের কর্মসংস্থান কতটা করতে পেরেছে? এছাড়া জেলার একশো দিনের প্রকল্পর অবস্থা কিরূপ? জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা তথা করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা সমস্ত কিছু নিয়েই প্রশ্ন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে আসছেন।” আবার রাজনৈতিক ভাবেও শাসকদলের কাছে কোচবিহার জেলার বিশেষ গুরুত্ব আছে।

যদিও কোচবিহার জেলা প্রশাসনের জনৈক্য আধিকারিক বলেছেন, ” করোনা কালে কোচবিহার খুব ভাল কাজ করেছে। তাই ভয়ের কোনও বিষয় নেই।” তবে জানুয়ারির শিলিগুড়ি সফরের পর এবারের সফর মিয়া যথেষ্ট চিন্তিত বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তারা। পূর্বের উত্তর কন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজের বিষয়ে ধমকে ছিলেন এই জেলার প্রশাসন কর্তাদের। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর এই প্রকল্পে বিশেষ অগ্রগতি দেখা দেয় এই জেলার। সারাদেশে এই প্রকল্পে সেরার শিরোপা পায় এই জেলা। তাই সম্প্রতি এই কাজে জেলার অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই জেলার স্বাস্থব্যবস্থা প্রসঙ্গে জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতি কোচবিহার খুব ভাল মোকাবিলা করছে। প্রচুর পরীক্ষা যেমন হচ্ছে, তেমন ভাবে আক্রান্তের গ্রাফও কমানো সম্ভব হয়েছে।” কিন্তু জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগেই এই জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা মেডিকাল কলেজে চিকিৎসা না পেয়ে এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। এই জেলার করোনা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব আছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

আবার লকডাউন এর ফলে জেলার উন্নয়নের কাজ অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। জেলার অর্থনৈতিক অবস্থার যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে ফিরে দেড় লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরে এসেছেন। তাদের কর্মসংস্থান কতটা হয়েছে? এই সমস্ত কিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য বারের মতো কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেন। কারণ অভিযোগ উঠেছে লকডাউন এর সময় থেকেই এই জেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এর উপরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শাকসবজি , বিশেষত আলুর ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে ও রিপোর্ট চাইতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন আশঙ্কায় আছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!