সরকারি রিপোর্টে ভরসা নেই মুখমন্ত্রীর, নিজস্ব ইনফ্রাস্ট্রাকচার দিয়ে সমস্যা সমাধানে মমতা কলকাতা রাজ্য September 26, 2019 রাজ্যের জেলাগুলিতে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা জানবার জন্য মাঝেমধ্যেই প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে দেখা যেত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে বৈঠক থেকে জেলার উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন তিনি। কিন্তু এবার আর জেলা থেকে তিনি রিপোর্ট নেবেন না। জেলাগুলিতে কেমন কাজ চলছে, তার যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর নেন, মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। সূত্রের খবর, এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলা থেকে যে রিপোর্ট সরকারিভাবে পাই তার পাশাপাশি রিপোর্ট পাওয়ার জন্য আমার নিজের ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে। যেখান থেকে আমি পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের প্রচুর অভিযোগ পেয়েছি।” এদিনের এই বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে তিনি রাস্তা সংক্রান্ত 786 অভিযোগ পেয়েছেন বলে পূর্ত দপ্তরের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে মেদিনীপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত 306 টি অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত 175 টি অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে এই জেলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রায় 3578 টি অভিযোগ জমা পড়েছে। আর এত বিপুল পরিমাণে অভিযোগ তার কাছে জমা পড়া নিয়েই এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে কার্যত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের কার্যত ধমক দিয়ে তিনি বলেন, “কেন একটা জেলা থেকে আমার কাছে এত অভিযোগ জমা পড়বে! তার মানে জেলার পুলিশ প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করছে না।” অন্যদিকে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ করারও নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রশাসনিক কাজকর্মকে আরও কঠোরভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। আর তাইতো এতোদিন জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের খতিয়ান নিলেও তার কাছে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তা জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমান করে দিলেন যে, তিনি সমস্ত খোঁজ-খবর রাখেন। তাই তাকে ফাঁকি দিয়ে কোনো কাজে অনিয়ম তিনি কোনমতেই বরদাস্ত করবেন না। আপনার মতামত জানান -