এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপি বিরোধী বনধ হলেও রাজ্য সচল রাখতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিজেপি বিরোধী বনধ হলেও রাজ্য সচল রাখতে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় আজ ও আগামীকাল এই দুই দিনব্যাপী বাম ও ডান বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠনের ডাকে মোট 12 দফা দাবিতে এক সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বামেদের এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে কংগ্রেসও। তবে সারা দেশে বিজেপি বিরোধিতার অন্যতম মুখ বলে পরিচিত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের এই ধর্মঘটের প্রবল বিরোধিতা করেছেন।

আজ এবং আগামীকালের এই ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে রাজ্যে অতিরিক্ত পরিবহন ব্যবস্থা মজবুত করার পাশাপাশি ট্রাম, ভেসেল এবং রেল ব্যবস্থাও যাতে সঠিক ভাবে চলে তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এমনকি অতীতের মতই এবারও এই বনধের দিনে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছে নবান্ন।

একাংশের মতে, এই ধর্মঘট থেকেই ফের রাজ্যে ঘুরে দাড়াতে মরিয়া বামেরা। আর তাইতো একদিকে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে বনধ ডেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। গতকাল নবান্নে এই বনধের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাম সরকারের আমলে একাধিকবার ধর্মঘটের জেরে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার সেই নীতিতে বিশ্বাসী নয়, তাই এই দুই দিন রাজ্য স্বাভাবিক ছন্দেই চলবে।”

অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তাদের বিরোধী হলেও সেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন না করায় ফের একবার রাজ্যের শাসকদলের পাশে দাঁড়ানোর সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “মানুষ যাতে কাজে যেতে পারে তার জন্য প্রশাসনের সব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে সরকার এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করবে আমরা তাঁদেরকেই সমর্থন করব।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেও বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই বেশি সুযোগ রয়েছে বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এদিন সেই তৃণমূলের তরফে বামেদের ধর্মঘটকে সমর্থন না করায় পরোক্ষে সেই তৃণমূলকেই সমর্থন করার কথা বলে সিপিএম এবং কংগ্রেস এর হাতে এ যেন এক নতুন অভিযোগের বাক্স তুলে দিলেন দিলীপবাবু।

যা নিয়ে দিলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গোপন সমঝোতার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ও বিধান ভবনের নেতারা। সব মিলিয়ে এবার বামেদের ডাকা এই বিজেপি বিরোধী বনধকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!