শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলার পাহাড়, খতিয়ে দেখতে চান খোদ মুখ্যমন্ত্রী – চলছে রাত জেগে ফাইল তৈরীর কাজ কলকাতা রাজ্য January 13, 2019 এবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে ঠিক কতগুলো মামলা হয়েছে তা নবান্নের তরফে জানতে চাওয়ায় সেই দফতরের কর্তাদের কার্যত ঘুম উড়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা, সোমবার সরকারের রিভিউ মিটিংয়ে দপ্তরের এই ফাইলগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে যাতে কাউকে পড়তে না হয় সেই জন্য ইতিমধ্যেই এই ফাইল তদারকির কাজ শুরু করে দিয়েছেন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা। আর এই কাজের চাপে শনি এবং রবিবার দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের ছুটিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঠিক স্কুল শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা রয়েছে? সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তালিকাভুক্ত মামলার সংখ্যা প্রায় 8 হাজারের মতো। তবে এর থেকে অনেক বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ। তবে বাকি মামলার ফাইলগুলো না দেখানোর কারণ হিসেবে একদিকে সময় কম আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বকুনির তত্ত্বকেই খাড়া করছেন অনেকে। কিন্তু ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপর সবথেকে বেশি মামলা রয়েছে? জানা গেছে, পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি বিষয়ক মামলার সংখ্যাই সবথেকে বেশি। পাশাপাশি নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার পরও কর্মরত শিক্ষকদের পে প্রোটেকশন না পাওয়া, প্রধান শিক্ষকদের 3% বর্ধিত বেতন না পাওয়া, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের জন্য বর্ধিত বেতন না দেওয়া, আগে থেকেই উচ্চতর ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হলেও বর্ধিত বেতন না পাওয়া সহ একাধিক কারণে শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর সাথে সাথে শিক্ষক বদলির জন্য একাধিক মামলা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি সন্তান প্রতিপালন এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকারা সহকারী শিক্ষিকাদের হেনস্থা করারও মামলা রয়েছে। তবে এই মামলা করার জন্য একাংশ শিক্ষক শিক্ষা দপ্তরের কর্তা এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এইরকমই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “প্রধান শিক্ষকের বর্ধিত বেতনের ব্যাপারে বিকাশ ভবনে একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে তিনি যাতে ফাইলটি সচিবের কাছে পাঠিয়ে দেয় তার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি শিক্ষকরা কোন কিছু নিয়ে মামলা করলেই জিতে যাচ্ছেন বলে আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমরা সেই পথে হাঁটেনি।” বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা শিক্ষকদের এই মামলা করার কথা বলে আদতে নিজেদেরই সুবিধা করে নিচ্ছেন। কেননা মামলা হলে এক শ্রেণীর আধিকারিক বিকাশ ভবন থেকে অফিসের গাড়িতেই হাইকোর্টে চলে যান। আর সেখান থেকেই বেশিরভাগ দিন আর অফিসে ফিরতে হয় না। ফলে তাদের দিনটা কাটে ছুটির মেজাজেই। কিন্তু এবার সেই মামলা হওয়া ফাইলগুলি মুখ্যমন্ত্রী ঘাটলে সেই সমস্ত রাজ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের ঘুম যে এবার উড়তে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। আপনার মতামত জানান -