এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর – ছিটমহলবাসীর জন্য বড়সড় যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর – ছিটমহলবাসীর জন্য বড়সড় যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

লোকসভা ভোটের আগেই ছিটমহলবাসীর জন্যে বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর! আইন করে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্যে জমির অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে এদিন বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার আইনে সংশোধনী বিল আনা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবং সর্বসম্মতিক্রমে সে বিল পাশ হয়ে যায়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ছিটমহলের ওই জমি খাস করে তাঁর মালিকানা বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে,এমনটাই বক্তব্যে জানালেন রাজ্যের ভূমিমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই বিলকে নেত্রী ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়ে জানান,ভবিষ্যতে ছিটমহলবাসীদের রাজ্যসরকার জনস্বার্থমুখী নানা প্রকল্প নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ থেকে আসা কিংবা এদেশ থেকে যাওয়া বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই চাল,ডাল,তেল,নুন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও দেন রাজ্যসরকার। শুধু তাই নয়,সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যে বাড়ি তৈরি,শিক্ষা ব্যবস্থা,রাস্তা-ঘাট,পানীয়জল,সেতু সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি চলছে ছিটমহলে।

উল্লেখ্য, মোদীসরকারের আমলে ২০১৫ সাকের ১ আগষ্ট ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল চুক্তি সম্পন্ন হলেও আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপি বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন এদিনের সংশোধনী বিলসংক্রান্ত আলোচনায়। এ নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবী,চুক্তির পর বাংলাদেশ থেকে ৯২২ জন বাসিন্দা এদেশে এসেছেন এবং এদেশ থেকে ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন বাসিন্দার ওপার বাংলায় যাওয়ার সুযোগ থাকলেও তাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন। এটা সত্যিই গর্বের,এমনটা বলে তিনি জানিয়েছেন,যাঁরা ১৯৭১ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন,তাঁরা নিশ্চিতভাবে ভারতীয় নাগরিক।

এই প্রেক্ষিতে পরোক্ষভাবে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন,কিছু রাজনৈতিক দল এর অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। সম্প্রতি পপড়শি রাজ্য অসমের উপর দিয়ে যে ঝড় গেল তা ভুলে যাওয়ার নয়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর,সাবেক ছিটমহলের ৩৮টি মৌজা চুক্তির পর ৩১টি মৌজার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হল। নতুন করে আরও ১৩টি মৌজা যুক্ত করে ছিটমহলের মোট ৪৪টি মৌজায় রাজ্যের এই সংশোধিত ভূমি সংস্কার আইন লাগু হবে।

তবে এ প্রসঙ্গে বিরোধীরা আবার রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে। তাঁদের দাবী, এই চুক্তির তিনবছর পার হতে গেলেও বাসিন্দারা সন্তুষ্ট নন। এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এদিন বিধানসভায় প্রস্তাব দেব,স্থানীয়দের বর্তমান দুর্দশা খতিয়ে দেখতে বিধায়কদের প্রতিনিধিদল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। আন্তর্জাতিক চুক্তির পর যা করণীয় ছিল,তা করতে অনেকই গড়িমসি করেছে রাজ্যসরকার,এমনটাই দাবী বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কেন্দ্রের তরফ থেকে ছিটমহলের সার্বিক উন্নয়নের জন্যে চার হাজার কোটি টাকা হয়েছিলো,সেই টাকা উন্নয়নের স্বার্থে কতোটা কাজে লাগিয়েছে রাজ্যসরকার? এমনটাই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি, ফুলবাড়ি,মেখলিগঞ্জ এবং দিনহাটায় চলা ক্যাম্পগুলির নানা দুরবস্থা কথা তুলে সুজনবাবু জানান,এসব এলাকায় নানান দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড মোকাবিলায় সরকারের অবিলম্বে তৎপর হওয়া উচিৎ বলেই মনে করেছন বাম পরিষদীয় নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!