এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর আপ্রাণ চেষ্টা তবুও পেট ভরাতে ঢাকিদের ভরসা করতে হয় অন্যত্র

মুখ্যমন্ত্রীর আপ্রাণ চেষ্টা তবুও পেট ভরাতে ঢাকিদের ভরসা করতে হয় অন্যত্র


পুজো শেষে মা ফিরে গেছে কৈলাশে এবার ওদেরও ঘরে ফেরার পালা। ঢাকের তালে কোমর দোলা এই বছরের মতো শেষ।আবার অপেক্ষা একবছরের ওরা সরকারি ভাতা প্রাপ্ত ঢাকি। শহরের বড় বড় পুজো মণ্ডপ দিন পাঁচেক মাতিয়ে বরুণ, তাপসরা আবারও ফিরে যাবেন বিয়ে বাড়িতে ব্যান্ড পার্টিতে তাল তুলতে। ওটাই যে ভরসা।

‘রাজা কি আয়েগি বারাত’, ‘মেহন্দি লগা কে রখনা’। নব্বই দশকের এই রকমই কিছু হিট গানের সুর তাল পেট ভরায় উত্তর ২৪ পরগনার বরুন নন্দীর। একইভাবে বছর চলে মেদিনীপুরের উত্তম দাসের। ওঁরা সবাই বংশগতভাবে ঢাকি। বাপ, ঠাকুরদার থেকেই উত্তরাধিকারসূত্রে ঢাক বাজানোর শিক্ষা পেয়েছিল। ছোটবেলায় মণ্ডপে যাওয়া কাঁসর বাজাতে। “সেই সময় বেশ ভালোই লাগত”, জানালেন স্বপণ নট্ট।

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁধে তুলতে হয়েছে ঢাক, ঢোল। বুঝতে শিখেছে বছরে একবার কলকাতায় এসে ঢাক ঢোল বাজিয়ে সংসার চলবে না। হাতে তুলে নিতে হয়েছে ব্যান্ড পার্টির বাজনা। রাজ্য সরকার ঢাকিদের ভাতা দেওয়া শুরু করেছে গত কয়েক বছর ধরে। কিন্তু তাতে পেট চলে না। তাই যোগ দেওয়া ব্যান্ড পার্টিতে।

ঢাকি সুভাষ দত্ত বলেন, “পাঁচদিন ভালো আয় হয়। কিন্তু পাঁচ দিনের উপর নির্ভর করে সারা বছর চলবে না। বিয়ে বাড়ি বা যে কোনও জন্মদিন বাড়ি সারা বছর লেগেই থাকে। ওটাই ভরসা।” দীপক নট্ট সোদপুরের বাসিন্দা। এই বছর দমদমের দুর্গা মণ্ডপে ঢাক বাজিয়েছেন এই তিনি। তিনি বলেন, “সরকার মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেয়। সেই টাকা আসে তিন মাস অন্তর আসে। তিন মাসে হাজার তিনেক। চলবে সংসার? তাসা পার্টি, ব্যাঞ্জো সারা বছর মোটামুটি কাজ দেয়। ওটাই বাঁচিয়ে রেখেছে।” মেদিনীপুরের উত্তমেরও ভরসা সেই ব্যান্ড পার্টিই। এই বছর পুজোয় হাওড়ার মণ্ডপে ঢাক বাজিয়েছেন তিনি।

জানালেন, “ঢাক বাজাতে ভালো লাগত ছোটবেলা থেকেই। তার সঙ্গে বাবার সঙ্গে শহরে আসার একটা আনন্দ ছিল। কত আলো, মানুষের ভিড়, হইচই। এখন বাস্তবটা বুঝছি। ঢাক, ঢোল আর ব্যান্ডের সুর তাল এটাই ভালো করে জানি। তাই অন্য কিছু করে রোজগারের উপায় নেই। সরকারি ভাতায় সংসারের এক মাসের তেল, আটা, মশলাও হয় না। তবু হাজারটা টাকা আমাদের কাছে অনেক। দিন আনি দিন খাইয়ের সংসারে এই ঢের।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

মা কৈলাশে ফিরে গেলে পাড়ার বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিছু জামা কাপড় পাওয়া যায়। অনেকে ৫০, ১০০ টাকাও হাতে দিয়ে দেয়। এটাই ভালোলাগা। ‘বাবা শহর থেকে কি আনলে?’ এই প্রশ্নটার উত্তরপত্র তৈরি হয়ে যায় যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!