মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা চলছে অভিযোগ নিয়ে কি বলছেন বিরোধী নেতারা? রাজ্য May 13, 2018 শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার কে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নেতৃত্বের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেলো। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাক্ষাৎকারে ঐ সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগের সুরে তিনি বললেন,তাঁকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তাঁকে খুন করতে সুপারি দেয় কোনও রাজনৈতিক দল। এমনকী দুষ্কৃতীরা তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে রেইকিও করে যান। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের সাক্ষাৎকারের বক্তব্য সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন এটা মুখ্যমন্ত্রীর ‘সহানুভূতির ভোট আদায়ের চেষ্টা’। এছাড়াও দিলীপবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করে বললেন, ” মুখ্যমন্ত্রী জমি হারিয়ে এখন সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদি সত্যিই তাঁর বিরুদ্ধে কেউ বা কোন দল সুপারি দিয়ে থাকে, তবে তাঁকে কেন গ্রেফতার করছে না পুলিশ। পুলিশও আপনার, গোয়েন্দাও আপনার, পুলিশ মন্ত্রী আপনি, তবু আপনার পুলিশ কিছু করছে না কেন? একসময় এসব কথা বলে অনেক সহানুভূতি আদায় করেছেন। কেননা তখন সিপিএমের আমল ছিল। এখন তো আপনার নিজেরই সরকার। তাহলে এই চক্রান্তের জাল কেটে ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতার করে দেখান এই ঘটনার সত্যতা। তাহলেই বুজব আপনিই ঠিক। অযথা নাটক করে কোনও ফায়দা হবে না।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা আবার মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বললেন, ‘অন্য রাজ্যে আত্মগোপন করুন’। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করে ্রাহুল বাবু বললেন, যখনই নির্বাচন আসে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী এ ধরনের অভিযোগ করেন। এটা আর নতুন নয়, এসব পুরনো হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন এলেই সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেন উনি। এবারও সেই একই নাটক করছেন। এ নাটকে আর কাজ হবে না। মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছেন এইসব নাটকের অর্থ। ” এছাড়াও তিনি ব্যঙ্গের সুরেই প্রশ্ন করে বললেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই যখন খুনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তখন এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের পরও ষড়যন্ত্রকারীদের টিকি পেল না পুলিশ বা গোয়েন্দার, এটা কার ব্যর্থতা? ” এরপরে তিনি দাবি করে বললেন, “যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নেই, সেই রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকতে পারে কি? খুনের ষড়যন্ত্রের কথা বলেন নিজের দৈন্যতাই প্রকাশ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সাংসদ মহম্মদ সেলিমের মতে ‘এসব ওনার মাথার ব্যামো’। এদিন তিনি বললেন, “এটা আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার ব্যামো। আর তা-ই যদি না হবে, কেন ব্যবস্থা নিল না রাজ্য প্রশাসন। সবার আগে তো তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। তা না দিয়ে তিনি ঘোষণা করেই ক্ষান্ত। আমরা সবাই চাই মুখ্যমন্ত্রী নিরাপদে থাকুন। তাই তদন্ত হোক। আর তা না হলে আমাদের ধরেই নিতে হবে, এসব ওনার মাথায় ব্যামো। যখন বিপাকে পড়েন, তখনই এসব নাটক করেন।” এখানেই থেমে থাকলেননা তিনি। কদ্ব্যর্থ ভাষায় আর ও বললেন ,”মুখ্যমন্ত্রী শঙ্খ ঘোষের থেকেও বড় কবি হতে চাইছেন। রাজ্যের মানুষ ক্ষিপ্ত হতেই নজর ঘোরাতে এমন মন্তব্য করেছেন। রাজ্যের মানুষ যখন আক্রান্ত, তখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তিনি পুরো ব্যাপারটা লঘু করতে চাইছেন।” আপনার মতামত জানান -