ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার স্বার্থে কঠিন পদক্ষেপ আনতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য June 16, 2018 এবার বিভ্রান্তিজনক খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলেই তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া আইনি ব্যবস্থা। এমনটাই ঘোষণা করা হল রাজ্যসরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বেশ উত্যক্ত হয়েছিলো রাজ্য রাজনীতি সহ আমজনতা। প্রমাণ হিসাবে উঠে আসে গত বছরে উওর ২৪ পরগনার বসিরহাট কান্ডের কথা। দুই গোষ্ঠীর ভিতর প্রবল সংঘর্ষের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিলো গোটা এলাকায়। তারপর রাতারাতি সে খবরকে কেন্দ্র করে ভুয়ো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। তার জেরে বসিরহাট চত্বরসহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকার মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিলো। কারণ ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্যসরকার গোটা এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবাই বন্ধ করে দিয়েছিলো। এই ঘটনার পরও দুদিন আগেই ঈদের ছুটি সংক্রান্ত ভুয়ো খবর স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছিলো। এর পাশাপাশি আরো নজির রয়েছে রাজ্যে। সম্প্রতি এগুলোর জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিলো রাজ্যসরকার। বারবার প্রশ্ন উঠছিলো প্রশাসনের দায়িত্বের উপর। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তাই তাঁরা এবার মোটঘাট বেঁধে দায়িত্বে নেমেছেন। অতীতের নমুনা ঘেটে দেখা গেছে, এরকম ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানে একাধিক ধারার উল্লেখ থাকলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই। অর্থাৎ এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অথচ এই ভুয়ো খবর ভাইরাল হলে তার মাশুল চোকাতে হয় রাজ্যবাসীকে। ধর্মীয় বিভেদ বাড়ে,নষ্ট হয় জাতীয় সংহতি। তাই রাজ্যসরকার এবার আলাদা করে আইনি ব্যবস্থা এনে অভিযুক্তদের জেলের ঘানি টানাতে বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্রদপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে,এবার কেউ বিভ্রান্তিকর খবর ভাইরাল করলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রযুক্ত হবে ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০৪(১)(বি) এবং ৫০৪ ধারা। এছাড়া আরো জানানো হয় যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সোশ্যালমিডিয়ায় কিছু লোক ধর্মীয় বিভেদে ইন্ধন দিতেই এই ধরনের মিথ্যে খবর রটায়। তাই কী ধরণের পোষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করা উচিৎ সে ব্যাপারে আমজনতাকে সচেতন হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে নতুন আইন চালু হলে এই সমস্যা মিটবে বলেই আশা করছেন রাজ্যের শীর্ষ আমলারা। আপনার মতামত জানান -