এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বিকলাঙ্গ গণতন্ত্র’, মুখ্যমন্ত্রীর চাপ বাড়িয়ে দাবি সরকারের একসময়ের আইনি পরামর্শদাতার

‘বিকলাঙ্গ গণতন্ত্র’, মুখ্যমন্ত্রীর চাপ বাড়িয়ে দাবি সরকারের একসময়ের আইনি পরামর্শদাতার


পঞ্চায়েত নির্বাচনকে নিয়ে রাজ্যে যে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে এদিন তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন শিক্ষা,সাংস্কৃতিক কর্মী,বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে উতপ্ত হয়েছে রাজ্য,বিরোধী দলগুলি শাসকদলের উপর হিংসার অভিযোগ এনেছে।এদিন বিদ্ধজনের এক আলোচনাসভায় শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়ও ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিন তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া হিংসার রাজনীতি এবং আইনি জটিলতাকে ‘বিকলাঙ্গ গণতন্ত্র’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন।পাশাপাশি এও জানান যে গলদ রয়েছে রাজ্য নির্বাচন সংক্রান্ত আইনের ভিতর ।তাঁর মতে এই আইন সংশোধন করতে পারেন একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই।বিধায়কদের প্রচেষ্টাই এই আইন পাল্টাতে পারে।কিন্তু সে কাজ আদেও হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।একসময় যিনি মা মাটি মানুষের সরকারের পাশে ছিলেন আজ তিনিই তাদের বিপক্ষে প্রশ্ন তুলছেন। ফলে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত ,২০১৩ সালে সেইসময়ের নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে রাজ্য সরকারকে সুপ্রীম কোর্ট অব্দি টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।সেই কঠিন আইনি লড়াই এ তৃণমূল সরকারের হয়ে সওয়াল তুলেছিলেন বিমলবাবু।তখন মীরা দেবী কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করাতে চেয়েছিলেন, তা নিয়ে রাজ্যের আপত্তি ছিলো।তখন পঞ্চায়য়েত নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে কার কথা চূড়ান্ত হবে? কেন্দ্র না রাজ্য? তা নিয়ে হয়েছিলো আইনি লড়াই।বিবেক সমর্থন না করলেও রাজ্যসরকারের হয়ে লড়েছিলেন বিমলবাবু একথাও জানান তিনি ।তিনি বলেন,-“আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে অনেক মামলা লড়তে হয়েছিল।সেইরকম পাঁচ বছর আগে আমি মামলা লড়েছিলাম কিন্তু আমার বিবেক তার সঙ্গে ছিল না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!