সবুজায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী রাজপথে হাঁটলেও বৃক্ষনিধনে ব্যস্ত শাসকদলের হেভিওয়েট নেত্রী, সমালোচনা সব মহলে কলকাতা রাজ্য August 4, 2019 সবুজকে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই সবুজ বাঁচাও অভিযান করে কলকাতার রাস্তায় পদযাত্রা করতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ, প্রায় সকলের উদ্দেশ্যেই সবুজকে লালন করার কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন, ঠিক তখনই রাস্তার ধারে লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান গাছ কাটার অভিযোগ উঠল তারই দলের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নদিয়ার করিমপুর 2 ব্লকের নতিডাঙ্গা 2 পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। যেখানে গমাখালি চর মুক্তারপুর রুট দিয়ে মুর্শিদাবাদে যাওয়া যায়, সেই রোডের দু পাশে প্রচুর গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বৃহস্পতিবার বিডিওর কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ পৌছলে তড়িঘড়ি তিনি তার অফিসের কর্মীদের নিয়ে বিষয়টি সরেজমিনে দেখভালের জন্য ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন যে, ঘটনার অনেকাংশেই সত্যতা রয়েছে। আর এরপরই এই ঘটনায় অভিযুক্ত সেই পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্রা দাসকে শোকজ করেন বিডিও সত্যজিৎ কুমার। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিডিও সত্যজিৎ কুমার বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে।” কিন্তু যেখানে তার দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সবুজকে বাঁচানোর জন্য সর্বত্র আহ্বান জানাচ্ছেন, পদযাত্রা করছেন, সেখানে কেন তিনি বৃক্ষছেদনের মত কর্মকাণ্ড করছেন! এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধান সুচিত্রা দাস বলেন, “এই বিষয়ে আমার স্বামী যা বলার বলবে।” এদিকে এই ব্যাপারে সেই সুচিত্রা দাসের স্বামী নারায়ন দাস কার্যত গাছ কাটার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “মরা গাছ পড়েছিল। সেই গাছ পঞ্চায়েতের সদস্যরা কেটেছে।” তবে বৃক্ষছেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শোকজ হওয়া প্রধান বা তার স্বামী যে সাফাই দিন না কেন, তৃণমূল নেত্রীর দেখানো পথে যে তার দলের অনেক সৈনিকই হাঁটছেন না, তা কার্যত এই ঘটনাতেই ফের আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত বিশ্লেষকদের। আপনার মতামত জানান -