এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > সুশাসনের লক্ষ্যে অবিচল মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন স্থানীয় মাফিয়াদের সঙ্গে মিলে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেন

সুশাসনের লক্ষ্যে অবিচল মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন স্থানীয় মাফিয়াদের সঙ্গে মিলে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেন


সম্প্রতি যে কয়েকটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানে প্রায় সব জায়গাতেই অবৈধ বালি খাদান রুখতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেও এই ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান মিলিয়ে যে পাঁচটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানকার প্রায় সব কটিতেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই বালি খাদানের একাংশ কারবারি যেভাবে যুক্ত হয়ে রয়েছে এবং সেই কারণেই যে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না তা অনুধাবন করে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঙ্গলবারও তার কোনরূপ ব্যতিক্রম ছিল না।

এদিন মেদিনীপুর শহরের পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ফের এই বেআইনি খননের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বালি আর মোরাম খাদান করে কালভাট, নদীর বাঁধ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের একটা অংশ মিলে লোকাল মাফিয়ারা এটা করছে। কারা এর পেছনে জড়িত?”

প্রশাসনিক প্রধানের প্রশ্নের মুখে পরেই উঠে দাড়ান ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকেরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের অফিসারেরা যদি স্বচ্ছ থাকেন তাহলে এসব হয় না। এত লোক থাকা সত্তেও এখানে বেআইনিভাবে খনন হচ্ছে কি করে?”

আর এই পুরো বিষয়টি দেখবার জন্য অ্যান্টি করাপশন ব্র্যাঞ্চকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর কিছুদিন জেলা প্রশাসন এই ব্যাপারে ছোটাছুটি করলেও পরে যে ফের সেই একই অবস্থা দাড়ায় এদিন সেই কথাও অনুধাবন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এসে বৈঠক করছি তারপর আপনারা কিছু দিন ছোটাছুটি করছেন। আর আবার যেই কার সেই। এসব কিন্তু আমি বরদাস্ত করব না।”

অন্যদিকে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাকে এড়িয়ে ইদানিং রাজ্য সরকারের রাস্তাগুলিতে যেভাবে 10 থেকে 30 চাকা ট্রেলার এবং ট্রাক ঢুকে পড়ছে এবং তাতে সেই সব রাস্তার য ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া বিষয়টি উত্থাপন করলে তা নিয়ে তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এবার থেকে ছোট লরি, ম্যাটাডোর ছাড়া কোনো ভারী ট্রেলার, লরি গ্রামীণ রাস্তায় ঢুকবে না। রাস্তায় খুঁটি পেতে, ব্যারিকেড দিয়ে এটা আটকতে হবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এই বিষয়টি দেখবার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলাপরিষদকেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আরে পরি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিয়ম ভঙ্গ করলেই জরিমানা করবেন। আর শুধু জরিমানাই নয়, এই ট্রাক লরি ও প্রয়োজনে আটকে রাখবেন। ইজ ইট ক্লিয়ার টু অল? আর সাথে সাথেই জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক জবাব দেন, “ইয়েস ম্যাডাম।” সব মিলিয়ে প্রশাসনকে স্বচ্ছ রাখতে এবং দুর্নীতি দমন করতে ফের কড়া পদক্ষেপের হুশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!