এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘মিষ্টিহাবের’ সব টাকাই জলে? বাড়ছে জল্পনা

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘মিষ্টিহাবের’ সব টাকাই জলে? বাড়ছে জল্পনা


প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার দরুণ ফের বন্ধ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত মিষ্টিহাব। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগে দপ্তরের ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে তৈরি হওয়া মিষ্টিহাবের মেরুদণ্ড সোজা হবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ তৈরি হল।

প্রসঙ্গত,মিষ্টিহাবকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে ১৬-২২ জানুয়ারি মিষ্টি উৎসবের আয়োজন করেছিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন। আমন্ত্রণ করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী না আসার খবরে ভেসতে গেল জেলার কর্মসূচি। বর্ধমানে আর রাজ্যস্তরের মাটি উৎসব হচ্ছে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন৷

তবে হুগলির তারকেশ্বরের মাটি উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে,বর্ধমানে মাটিমঞ্চ প্রাঙ্গণে মাটি উৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর সফর বাতিল হওয়ার খবরে জেলা প্রশাসন অনেকটাই চাপমুক্ত। এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের মিষ্টিহাবের ভবিষ্যৎ সংকটে পড়ল। আর প্রশাসনও এব্যাপারে কোনো সক্রিয় উদ্যোগ দেখাতে চাইছে না এখন।

জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,গত ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল আসানসোল থেকে ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি মিষ্টিহাবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রায় দুবছর সম্পূর্ণ হতে চললেও এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারল না সেই মিষ্টিহাব।এই মুহূর্তে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১৫টি এবং দ্বিতলে ১০টি মিলিয়ে মোট ২৫টি স্টল রয়েছে। তারমধ্যে ২৪টি স্টল বন্ধ। মাত্র একটি স্টল খোলা। কিন্তু, সারাদিনে তাতে কোনো কেনাকাটার নামগন্ধ নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই স্টলের কর্মী শেখ সমীরুদ্দিন জানিয়েছেন,প্রতিদিন লোকসাব হওয়ার জন্যে একে এক স্টল বন্ধ করে দিচ্ছেন সবাই। শুধুমাত্র কিছুজনই স্টল খোলা রেখেছেন। প্রতিদিন সকালে স্পন্দন কমপ্লেক্স চত্বর থেকে দোকানে মিষ্টি আনা হয়। তারপর সেই মিষ্টি সন্ধ্যেবেলা দোকানে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। এই রুটিনই দীর্ঘদিন ফলো করা হচ্ছে।

এদিকে,এই মিষ্টিহাবের এই হতাশাজনক পরিনতির জন্যে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। তবে কেন রাজ্যসরকারের এই উদ্যোগ ফ্লপ হল তার কোনো সঠিক কারণ কেউ বলতে পারেনি। গত দুবছরে একাধিকবার জেলা সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী,তখন প্রশাসনের চাপে পড়ে বেশ কয়েকজন স্টলপ্রাপকরা দোকান খুলে বসেছেন। ব্যবসায়,চূড়ান্ত মন্দা দেখে ফের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিষ্টিহাবে স্টল পাওয়া ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে,প্রশাসন ঘটা করে মিষ্টি উৎসব করাতেই ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। কারণ,মিষ্টিহাবকে সাধারণ মানুষজন নজরে আনার জন্যে ৫০শতাংশ ছাড় দিতে হয়েছিল। স্ক্র্যাচকার্ডে উপর থেকেই ডিসকাউন্টের পরিমাণ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। বিভিন্ন শপিংমলে ওইসব কার্ড ঘটা করে বিক্রি হয়েছে।

৪০ ও ৫০শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকা কার্ডগুলি শপিংমলের কর্মীরা সংগ্রহ করে নিয়েছিলেন। তাঁরা চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মিষ্টি কিনে অর্ধেক দাম মিটিয়ে চলে গিয়েছেন। আর সেটারই ভরপাই করতে হয়েছে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। প্রশাসনের সঠিক পরিকল্পনা না থাকার জন্যেই একরক ক্ষতির শিকার হতে হল মিষ্টি ব্যবসায়ীদের।

এখনো মিষ্টিহাবের সামনে সরকারি এবং বেসরকারি বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে উঠতে পারিনি প্রশাসন। এই ব্যাপারে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে রাজ্য পরিবহন দপ্তরের বৈঠকে। এমনটাই জানালেন আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক রানা বিশ্বাস।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী যতোই মাটি উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকুন না কেন মিষ্টিহাব সচল করাও তাঁর গুরু দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেই মনে করছেন বর্ধমানের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। এই প্রেক্ষিতে প্রশাসন যদি এব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে লোকসভা ভোটে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!