মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা – বাংলা এবার দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন পেতে চলেছে – জানুন বিস্তারিত কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য September 25, 2019 প্রথম থেকেই আঁচ করা হচ্ছিল যে, বীরসিংহ গ্রামে ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর উৎসব অনুষ্ঠানে এসে কোনো একটি চমকপ্রদ ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ, মঙ্গলবার বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই গ্রামে এডুকেশন হাব তৈরির কথা ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানা যায়, এদিন বেলা তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই তিনি সেই অনুষ্ঠানস্থলে চলে আসেন। আর প্রশাসনিক প্রধান নিজের গাড়ি থেকে নামতেই তাকে শঙ্খধ্বনি দিয়ে, আদিবাসীদের ধামসা মাদলের মধ্যে দিয়ে মহিলারা স্বাগত জানান। এদিকে গাড়ি থেকে নেমেই সোজা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটেতে সেখানে বিদ্যাসাগরের গলায় মালা দিয়ে মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই ঝিরঝির বৃষ্টিতে ভিজে ভগবতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভামঞ্চে উপস্থিত হয়ে প্রায় 35 মিনিট ধরে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দীপক অধিকারী, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দিনেন রায়, শিউলি শাহা, শঙ্কর দলুই, জেলাশাসক রশ্মি কমল সহ রাজ্যের একাধিক পদাধিকারীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই অনুষ্ঠানে প্রথমেই একাধিক প্রকল্পের উপভোগ তাদের হাতে চেক সহ নানা সরঞ্জাম তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি বলেন, “বীরসিংহকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মানুষ বিবেকানন্দের জন্য বেলুড় মঠে যান, নেতাজির বাড়ি দেখতে যান, চার্চে যান, তাহলে এখানে কেন আসবেন না! বীরসিংহ গ্রামকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এমন ভাবে গড়ে তোলা হবে, যে এখানেও শান্তিনিকেতনের মত মানুষজন আসবেন। বীরসিংহ গ্রামে ঢোকার মুখে গেটটিকে সংস্কার করা হবে। নতুন গেট তৈরি করা হবে। রাস্তায় আলো লাগানো হবে। বীরসিংহ গ্রাম আমাদের বর্ণপরিচয়েয় আঁতুড়ঘর। তাই এডুকেশন হাব করার কথা বলেছি। আমরা ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামে বাংলায় একটা গবেষণা কেন্দ্র করতে চাই। বিদ্যাসাগর কে ছিলেন, তিনি কি কাজ করেছিলেন! তা আগামী প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে।” আর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে এই কথা শুনে রীতিমতো আনন্দে উজ্জীবিত হতে দেখা যায় গ্রামের বাসিন্দাদের। এদিন এই প্রসঙ্গে ভগবতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক শক্তিপদ বেরা বলেন, “এতদিন এই বীরসিংহ গ্রাম অবহেলিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী এসে এদিন দুহাত ভরে আমাদের দিয়েছেন। শান্তিনিকেতনের মতো এখানেও পর্যটকরা বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে দেখতে আসবেন, এটা আমাদের কাছে বড় পাওনা। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।” সব মিলিয়ে বিদ্যাসাগরের জন্মদ্বিশতবর্ষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একগুচ্ছ আশার বাণী শোনালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আপনার মতামত জানান -